সাংবাদিক বৈঠকে কমলনাথ। ছবি: এপি
করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শনিবার। এর মাঝেই লকডাউনের ঘোষণা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই কংগ্রেস নেতা বলেন, মধ্যপ্রদেশ দখল করার জন্যই লকডাউন করতে দেরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কমলনাথের এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমি ২০ মার্চ ইস্তফা দিয়েছিলাম, কিন্তু লকডাউন ঘোষণা করা হল ২৩ মার্চ, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শিবরাজ সিংহ চৌহান শপথ গ্রহণ করার পর।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘রাহুল গাঁধী ফেব্রুয়ারি মাসেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের জেরে তৈরি হওয়া অতিমারি একটা বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিন্তু তখনও কিছু করাই হয়নি। করোনা আতঙ্কে অনেক রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি রাখা হয়েছিল। কিন্তু সংসদ তখনও চলছিল, যাতে আমাদের সরকারের পতন নিশ্চিত করা যায়। এটাই ভবিতব্য ছিল।’’
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন করোনা দমনে তিনি কী কী পদক্ষেপ করেছিলেন এ দিন তারও ফিরিস্তি দিয়েছেন কমলনাথ। বলেছেন, ‘‘আমরা ৮ মার্চ শপিং মল, স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। তখন কোনও লকডাউন ছিল না। কিন্তু আমরা গোটা পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করেই এই পদক্ষেপ করেছিলাম।’’ কমলনাথ আরও বলেন, ‘‘যখন স্পিকার করোনা আতঙ্কের জেরে বিধানসভা মুলতুবি রেখেছিলেন তখন তাঁকে উপহাস করা হয়। দেখুন, তার পর কী হল। গোটা দেশ জুড়েই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ‘স্পর্শকাতর’ এলাকায় বাড়তি বিধিনিষেধ কী কী? হাওড়ায় যা দেখা যাচ্ছে
কর্নাটকের মতো রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নেয় মধ্যপ্রদেশেও। ২৩ বিদ্রোহী বিধায়কের পদত্যাগের জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে চাপে পড়ে যায় কমলনাথের সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগেই গত ২০ মার্চ পদত্যাগ করেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতা আসে বিজেপির হাতে। মুখ্যমন্ত্রী হন শিবরাজ সিংহ চৌহান। সেই ঘটনায় মাস খানেকের মাথায় কমলনাথের এই অভিযোগ নতুন বিতর্কের জন্ম দিল।
আরও পড়ুন: লকডাউন ভাঙায় বাধা, তলোয়ারের কোপে পুলিশের হাত ছিন্ন পঞ্জাবে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)