অজিত সিংহ
উত্তরপ্রদেশের কৈরানা উপনির্বাচনের প্রচার চলাকালীন গঞ্জ-মহল্লায় গুঞ্জন ওঠে— চৌধরি চরণ সিংহের আত্মা কি ফিরে এল!
আরএলডি (রাষ্ট্রীয় লোকদল) নেতা অজিত সিংহ এবং তাঁর ছেলে জয়ন্ত চৌধরি তো বটেই, দলের প্রায় সব নেতাই চরণ সিংহের স্মৃতিকে উস্কে তুলে আবেগমথিত প্রচার করেছিলেন কৈরানার ভোটে। দিনের শেষে তৃপ্ত নেতৃত্ব বলছেন, ফল মিলেছে।
জাঠ নেতা অজিতের কাছে এটা ছিল মরণ বাঁচন লড়াই। আর তাই জাঠ এবং কৃষক ভোটারদের কাছে টানতে বাবা চরণ সিংহের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। কেন না উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল আরএলডি।
গত লোকসভা এবং তার পরের বিধানসভা ভোটে ধুয়ে মুছে গিয়েছিল আরএলডি। বহু দিনের বিশ্বস্ত জাঠ ভোটব্যাঙ্কে শুধু ভাঙনই ধরেনি, ধীরে ধীরে প্রায় পুরোটাই ছেড়ে চলে গিয়েছিল চরণ সিংহের পরিবারের হাত থেকে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মুসলমান, জাঠ এবং কৃষকদের মধ্যে অজিত সিংহের দলের বরাবরই প্রভাব ছিল। ২০১৩ সালের মুজফ্ফরনগরের সাম্প্রদায়িক অশান্তির পর পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। জাঠ ভোট বিজেপির দিকে সরে যায়। লোকসভা-বিধানসভায় কার্যত সদস্যশূন্য হয়ে যায় আরএলডি। ২০১৭-এর বিধানসভা ভোটে শুধু চাপরৌলি আসনে জেতে আরএলডি। পরে সেই বিধায়কও দলত্যাগ করেন।
কৈরানা উপনির্বাচনে আজকের জয় অজিত সিংহের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে আনল বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোটে তাঁর দল আসন সমঝোতার প্রশ্নে অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠবেন।