—ফাইল চিত্র।
গত মার্চ মাসে মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকারের পতনের ঘটনায় বিরোধীদের অভিযোগের নিশানায় ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু
ওই ঘটনায় বড় ভূমিকা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও— এ কথা
বলে দলকে বেকায়দায় ফেললেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
কৈলাসের ওই বক্তব্য সামনে আসতেই আজ প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি চেয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। তাঁর দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর উচিত, এমন গুরুতর দাবি নিয়ে মুখ খুলে যাবতীয় সংশয় দূর করা। তিনি বলুন, সরকার ফেলায় তাঁর হাত ছিল কি না। ওই সরকার ফেলতে গিয়ে লকডাউন ঘোষণায় দেরি হয়েছিল কি না সেই জবাবও দিন প্রধানমন্ত্রী।’’
মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে, লকডাউনের ঠিক আগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় ইস্তফা দিতে বাধ্য হন মধ্যপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের নিয়ে কংগ্রেস ত্যাগ করায় সরকারের পতন ঘটে। সে সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অমিত শাহের বিরুদ্ধে সরকার ফেলার অভিযোগ করেছিলেন কমল নাথ। একই অভিযোগ আনেন রাজস্থানের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। কিন্তু গত কাল মধ্যপ্রদেশে দলের অনুষ্ঠানে কৈলাস দাবি করেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশের সরকার ফেলার পিছনে ধর্মেন্দ্র প্রধান নন, বরং প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।’’ এর পরেই তিনি যোগ করেন, ‘‘এটি এমন গোপন কথা যা অতীতে কাউকে বলা হয়নি।’’