আধঘণ্টার ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে তছনছ হল কাছাড়ের বিভিন্ন এলাকা। ভাঙল প্রচুর ঘরবাড়ি। জখম হলেন ৫ জন। শিলচর শহরে ঝড়ের দাপটে বড় বড় গাছ মাটিতে পড়েছে। বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ছিঁড়েছে অনেক জায়গায়। তার জেরে গত রাত থেকে জেলার অধিকাংশ এলাকা অন্ধকারে ডুবে রয়েছে।
ঝড়ে শিলচর শহর সংলগ্ন দুধপাতিল গ্রামে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘর ভেঙে এক শিশু-সহ পাঁচ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মার্জিনা হক লস্কর ও আত্রিকুল হক লস্করের আঘাত গুরুতর। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উধারবন্দের কাশীপুর, আরকাটিপুর এলাকাতেও ছন-বাঁশের প্রচুর ঘর ভেঙে পড়েছে। অনেক ঘরের টিনের চাল ঝ়়ড়ে উড়ে অনেক দূরে পড়েছে।
পশ্চিম কাটিগড়ায় বেশি ক্ষতি হয় শিলাবৃষ্টির জন্য। বোরো খেতে এখন ধান পাকার সময়। কিন্তু বড় বড় শিলার টুকরো ফসলের লোকসান করেছে। ক্ষয়ক্ষতির শিকার মাছুঘাটেরও অনেকে।
শহরের মানুষ বেশি সমস্যায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায়। একে আজ সকাল থেকে রোদ চড়েছে। সঙ্গে নেই বিদ্যুৎ। বিভাগীয় সূত্রে জানা গিয়েছে— অফিসপাড়া, ডিএফও বাংলো, জেল রোডে রাতের ঝড়ে বড় বড় গাছে ভেঙে পড়ে। হাইটেনশন তার ছিঁড়ে যায়। অবশ্য ঝড়ের মাত্রা টের পেয়ে আগেই লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে ভাঙা গাছ সকাল পর্যন্ত রাস্তাঘাট আটকে রাখলেও বিদ্যুৎ ছোবলের ঘটনা ঘটেনি। সকালে ড্রজার লাগিয়ে সে সব গাছ সরিয়ে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। বিদ্যুৎকর্মীরা সকাল থেকে কাজ করে চললেও অধিকাংশ এলাকায় রাত পর্যন্ত সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিভাগীয় কর্তার আশা করছেন— ফের ঝড় না এলে আগামী কাল সকালের মধ্যে সব জায়গায় বিদ্যুৎ মিলবে।