ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে আরও এক নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তি হয়ে গেল শনিবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দিলেন কে-৯ বজ্র ট্যাঙ্ক। এই মারণ অস্ত্রের বিশেষত্ব কী, কতটাই বা শক্তিশালী এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
দেশীয় প্রযুক্তিতে এই ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছে গুজরাতে লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এল অ্যান্ড টি)-র হাজ়িরার প্ল্যান্টে।
ট্যাঙ্ক তৈরিতে ৫০ শতাংশ দেশীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৭-য় বরাত পেয়েছিল এল অ্যান্ড টি। দক্ষিণ কোরিয়ার হানওয়া টেক উইন সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ব্র্যান্ডের অধীনে তৈরি করা হয়েছে এই ট্যাঙ্ক।
১০০টি ট্যাঙ্ক বানানোর বরাত পেয়েছে এল অ্যান্ড টি। যার মধ্যে ১০টি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা হয়েছে। বাকি ৯০টি দেশেই তৈরি করবে সংস্থাটি। হাজ়িরা ছাড়াও সংস্থার পুণের তালেগাঁও প্ল্যান্টে তৈরি করা হচ্ছে এই ট্যাঙ্ক।
প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রোজেক্ট এটি।
১৫৫ মিলিমিটার/৫২ ট্র্যাকড সেলফ প্রপেলড এই ট্যাঙ্ক দক্ষিণ কোরিয়ার কে-৯ থান্ডারের আদলে তৈরি।
কে-৯ বজ্র বিশ্বের সবচেয়ে ঘাতক ট্যাঙ্কগুলির মধ্যে একটি। শক্রুকে খুঁজে খুঁজে খতম করার ক্ষমতা রয়েছে এতে। এই ট্যাঙ্ককে ‘সেলফ প্রপেলড হোভারক্রাফ্ট গান’ও বলা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তি আর ঘাতক ক্ষমতার দিক থেকে বফর্স কামানের থেকেও বহু গুণ শক্তিশালী এই ট্যাঙ্ক। বফর্স থেকে গোলা ছুড়তে কিছুটা সময় লাগে। স্বয়ংক্রিয় হওয়ার কারণে কে-৯ বজ্র চোখের পলকেই লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে।
এক কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক ও বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ট্যাঙ্কের। সর্বাধিক ৩৮ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম বজ্র।
৩০ সেকেন্ডে ৩ রাউন্ড বার্স্ট ফায়ারিং, ৩ মিনিটে ১৫ রাউন্ড ইনটেন্স ফায়ারিং এবং ৬০ মিনিটে ৬০ রাউন্ড সাসটেনড ফায়ারিং করার ক্ষমতা রয়েছে এই ট্যাঙ্কের।
প্রতিকূল আবহাওয়া, জঙ্গল, মরুভূমি এবং বরফে ঢাকা অঞ্চলেও কাজ করার ক্ষমতা রাখে এই ট্যাঙ্ক।
ট্যাঙ্কের ওজন ৪৭ টন। উচ্চতা প্রায় ৯ ফুট এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ ফুট।