প্রয়াত বিএসপি প্রধান। — ফাইল চিত্র।
তামিলনাড়ুর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) দলের রাজ্য সভাপতি কে আর্মস্ট্রংকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত থিরুভেঙ্গদাম শনিবার সন্ধ্যায় এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা আর্মস্ট্রংকে মারার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি যেখানে লুকিয়ে রেখেছিল, সেখানে অভিযুক্ত থিরুভেঙ্গদামকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় আচমকা একটি বন্দুক হাতিয়ে পুলিশকে গুলি করতে শুরু করে ওই অভিযুক্ত। পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তার। শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ের মাধভরমের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে।
গত ৬ জুলাই বিএসপি প্রধানকে খুনের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আট সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের নাম পোন্নাই বালা, রামু, থিরুভেঙ্গদাম, সেলভারাজ, মনিভান্নান, সন্তোষ এবং আরুল। প্রাথমিক ভাবে তদন্তের সুবিধার্থে ১০ জনের একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছিল। পরে গ্রেফতার হয় আরও তিন।
পুলিশের অনুমান, খুনের বেশ কিছু দিন আগে থেকেই আর্মস্ট্রং-এর উপর নজর রাখছিল থিরুভেঙ্গদাম ও অন্য অভিযুক্তেরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খুনের দিনও খাবার ডেলিভারি কর্মী সেজে আর্মস্ট্রং-এর বাড়ির সামনে গিয়েছিল আততায়ীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী এবং এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পরদিনই সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
পেশায় আইনজীবী কে আর্মস্ট্রং রাজ্যে অন্যতম দলিত কণ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। খুনের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শাসকদল ডিএমকে-কে সরাসরি আক্রমণ করেছে বিরোধী দলগুলি। আর্মস্ট্রং-এর মৃত্যুতে যদিও আগেই শোকপ্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। ঘটনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। বহুজন সমাজ পার্টির দলীয় প্রধান মায়াবতী খুনিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
গত ৫ জুলাই রাতে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দলের কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন কে আর্মস্ট্রং। হঠাৎ ছ’জন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাঁর উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে বার কয়েক কোপানোর পর সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে।