—ফাইল চিত্র।
ছ’মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পর থেকে খোঁজ মিলছে না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিএস কারনানের। কিন্তু এর মাঝেই আদালত অবমাননার দায় থেকে মুক্তি পেতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দিলেন বিচারপতি কারনানের আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রেই এ খবর জানা গিয়েছে। প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির আবেদন সর্বোচ্চ আদালত বিবেচনা করবে।
মঙ্গলবার বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের এই বিচারপতিকে ছ’মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোনও হাইকোর্টের কর্মরত কোনও বিচারপতির কারাদণ্ডের রায় দেশের ইতিহাসে এই প্রথম। আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে এই রায় দেয় দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। বিচারপতি কারনানকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু কলকাতা, চেন্নাই এবং টাডায় (অন্ধ্রপ্রদেশ) সন্ধান চালিয়েও এখনও বিচারপতি কারনানের খোঁজ মেলেনি। ফলে তাঁকে গ্রেফতার করাও যায়নি।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে টানা সঙ্ঘাত চালিয়ে যাচ্ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রেহাই পেতে আবার সেই সুপ্রিম কোর্টেরই দ্বারস্থ হলেন তিনি। —ফাইল চিত্র।
এক দিকে যখন পুলিশ বিচারপতি কারনানকে খুঁজছে, অন্য দিকে তখন ওই বিচারপতির তরফে আইনজীবী ম্যাথিউস জে নেদুমপরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে যে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, নেদুমপরা বৃহস্পতিবার তা পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন। ওই আইনজীবী আদৌ বিচারপতি কারনানের প্রতিনিধি কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দিষ্ট নথি দেখতে চায়। আইনজীবী বৈধ নথি তথা ওকালতনামা পেশ করেন। এর পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানতে চায়, বিচারপতি কারনান এখন কোথায় রয়েছেন? ম্যাথুস জে নেদুমপরা জানান, বিচারপতি কারনান চেন্নাইতেই রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে অবশ্য বিচারপতি কারনানের আইনি পরামর্শদাতা জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গ্রেফতারি এড়াতে চান, তাই সম্ভবত তিনি দেশ ছেড়েছেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মিললে তবেই বিচারপতি কারনান দেশে ফিরবেন বলেও ওই আইনি পরামর্শদাতা জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ খুঁজে পেল না কারনানকে! দেশ ছেড়েছেন বিচারপতি? জল্পনা তুঙ্গে
রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন বিচারপতি কারনান জানিয়েছেন, সে আবেদন অবশ্য সর্বোচ্চ আদালত গ্রহণ করেছে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।