বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি।
বাংলায় ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র জেরে দুই বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় সিবিআই অথবা সিট তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই মামলা বিচার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের হাতে ভাই অভিজিৎ সরকার এবং বিজেপি-র বুথকর্মী হরণ অধিকারী খুন হয়েছেন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক ব্যক্তি। হরণ অধিকারীর স্ত্রী এই মামলায় দ্বিতীয় পিটিশনকারী। সেই মামলা থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি ইন্দিরা। তাঁর কথায়, ‘‘এই মামলায় আমার কিছু অসুবিধে রয়েছে।’’ তিনি নিজে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আপাতত এই মামলা স্থগিত রাখা হয়েছে এবং মামলাটি অপর একটি বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের রেজিস্টারকে, যে বেঞ্চে বিচারপতি ইন্দিরা নেই।
রাজ্যের আইনজীবীর তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতেই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তার পরই গত ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই মামলায় পাল্টা হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিনীত সরণ এবং বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ। পাশাপাশি এই মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন, তফসিলি জাতি/ জনজাতি কমিশন, শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনেরও বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত।