বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ছবি: সংগৃহীত।
জামিনের নির্দেশ জেলে পৌঁছতে দেরি হলে সংশ্লিষ্ট বিচারাধীন বন্দি বা সাজাপ্রাপ্ত বন্দির স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয় বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
আজ এলাহাবাদ হাই কোর্টের একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল কোর্ট ও ‘ই-সেবা কেন্দ্রে’র উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেখানে তিনি ওড়িশা হাই কোর্টে চালু করা ‘ই-কাস্টডি’ শংসাপত্রের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই শংসাপত্র থেকে কোনও বিচারাধীন বা সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে প্রথম হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ থেকে শুরু করে সেই মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে সব তথ্য পাওয়া যাবে। তাতে জামিনের নির্দেশ হলেই তা সঙ্গে সঙ্গে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে।’’ সম্প্রতি জামিন পেয়েও জেলে এক দিন কাটাতে হয়েছিল শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে। তাঁর দুই সহ-অভিযুক্ত আরবাজ় মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচাও জামিনের নির্দেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাড়া পাননি। জামিনের নথি জেলে পৌঁছতে দেরি হওয়াই এর কারণ বলে জানিয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষ।
বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মতে, ‘‘ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার অন্যতম গলদ হল জামিনের নির্দেশ পৌঁছতে দেরি হওয়া। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এর মোকাবিলা করা প্রয়োজন। কারণ এর সঙ্গে সব বিচারাধীন বন্দি ও যে সব সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সাজা স্থগিত হয়েছে তাঁদের স্বাধীনতা জড়িত।’’
চলতি বছরেই সুপ্রিম কোর্টের রায় দ্রুত জেলে পাঠানোর জন্য ‘ফাস্টার’ নামক বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার বেঞ্চ। এই নির্দেশ দেওয়ার সময়ে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার দিনে আমরা পায়রার মাধ্যমে নির্দেশ জানানোর জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।’’