Waqf Bill

চাপে পড়ে ওয়াকফ নিয়ে জেপিসির মেয়াদ বাড়ল

ওয়াকফ আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে গত অধিবেশনের শেষ পর্বে সংশোধিত ওয়াকফ বিল এনেছিল মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৩
Share:

ওয়াকফ বোর্ড। —ফাইল চিত্র।

বিরোধীদের চাপে পড়ে সংশোধিত ওয়াকফ বিল নিয়ে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)-র মেয়াদ আগামী বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রশ্নে নীতিগত ভাবে রাজি হল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আগামিকাল লোকসভায় ওই সময়সীমা বাড়ানো সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা রয়েছে শাসক শিবিরের। আজ বৈঠক চলাকালীন কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের বিরুদ্ধে ফের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে বৈঠক বয়কট করেন বিরোধীরা। পরে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধির আশ্বাস পেলে তাঁরা বৈঠকে যোগ দেন।

Advertisement

ওয়াকফ আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে গত অধিবেশনের শেষ পর্বে সংশোধিত ওয়াকফ বিল এনেছিল মোদী সরকার। বিতর্কিত বিষয় হওয়ায় বিলটি তৎক্ষণাৎ জেপিসি-তে পাঠিয়ে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। কমিটির মেয়াদ ছিল তিন মাসের, যা আগামী ২৯ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়নি, এই যুক্তিতে কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে সরব ছিলেন বিরোধীরা।

আজ বেলা ৩টে থেকে সংসদের অ্যানেক্স ভবনে ওয়াকফ সংক্রান্ত বৈঠক শুরু হয়। সূত্রের দাবি, বৈঠক চলাকালীন জগদম্বিকা জানান, এটিই কমিটির শেষ বৈঠক। আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে সংসদে বিল সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে দেওয়া হবে। জগদম্বিকার এই ঘোষণার পরেই কমিটির বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাদিমুল হক, আপের সঞ্জয় সিংহ, এমআইএমের আসাদুদ্দিন ওয়েইসির মতো বিরোধী সাংসদেরা। কল্যাণ বলেন, ‘‘বৈঠক নয়, ভাঁড়ামো হচ্ছে।’’

Advertisement

আসাদুদ্দিনের কথায়, ‘‘দিল্লি, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডের বক্তব্য শোনা হয়নি। একাধিক রাজ্য সফর হয়নি। সর্বোপরি, খসড়া রিপোর্টের প্রতিটি ধারা ধরে ধরে ভোটাভুটি হয়নি। ফলে ‘ডিসেন্ট নোট’ দিয়ে নিজেদের আপত্তি জানাতে পারেননি সাংসদেরা।’’

বিরোধীরা একজোট হয়ে বেরিয়ে যেতে অস্বস্তিতে পড়ে শাসক শিবির। সূত্রের মতে, এর পরে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শে বিরোধীদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে ছুটে যান কমিটির সদস্য তথা বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গী ও নিশিকান্ত দুবে। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কল্যাণ জানান, শাসক দলের দুই সাংসদ বিরোধীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, রিপোর্ট এখনই চূড়ান্ত করা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে আলোচনার জন্য বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শাসক শিবিরের আশ্বাস পেয়ে ফের জেপিসি-র বৈঠকে যোগ দেন বিরোধী সাংসদেরা। যে ভাবে বিরোধীদের সম্মিলিত প্রতিবাদের ফলে শাসক শিবির ব্যাকফুটে যেতে বাধ্য হয়েছে, তা বিরোধী ঐক্যের জয় বলেই মনে করছেন কল্যাণেরা। আগামিকাল কমিটির মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব লোকসভায় পেশ করা হবে। তা পাশ হলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement