বিপর্যস্ত জোশীমঠের ছবি। ফাইল চিত্র।
জোশীমঠ বিপর্যয়ের জন্য তাঁদের তরফে কোনও ত্রুটি নেই। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রককে চিঠি লিখে আরও এক বার তা জানিয়ে দিল এনটিপিসি। জোশীমঠের বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ার পর এবং জায়গায় জায়গায় ধস নামার পর বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করে দেখা হয়।
ভূতত্ত্ববিদদের একাংশ জানান, জোশীমঠ থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে এনটিপিসির তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণেই ক্রমশ আলগা হয়ে গিয়েছে জোশীমঠের ভিত। ‘দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়, এনটিপিসির নির্মীয়মাণ এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে একাধিক নিয়মভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রকল্পে ১২.১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খোঁড়ার জন্য যে টানেল বোরিং মেশিন আনা হয়েছিল, তার আঘাতে বেরিয়ে এসেছে ভূগর্ভস্থ জল। এই জল বেরিয়ে আনার কারণে যেমন জোশীমঠের জলস্তর নেমে গিয়েছে, তেমনই ফাঁপা হয়ে গিয়েছে জোশীমঠের নীচে থাকা নরম মাটি।
এই ঘটনা নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হওয়ার পরেই এনটিপির তরফে যাবতীয় দায় এড়িয়ে যাওয়া হয়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামির নির্দেশে অবশ্য বিপর্যস্ত এলাকার আশেপাশে সমস্ত নির্মাণপ্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক এ বিষয়ে এনটিপিসির কৈফিয়ত তলব করে। সেই চিঠির জবাবেই এনটিপিসি জানিয়ে দেয়, জোশীমঠ বিপর্যয়ে তাদের কোনও ভূমিকা নেই।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের তরফে এনটিপিসির পাঠানো চিঠিটিকে যাচাই করা হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ১২ কিলোমিটারের সুড়ঙ্গটি জোশীমঠ শহরের তলা দিয়ে যায়নি। বরং তা জোশীমঠ শহরের অন্তত ১ কিলোমিটার দূর দিয়ে গিয়েছে। যদিও জোশীমঠের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সুড়ঙ্গ খননে ব্যবহৃত টানেল বোরিং মেশিনের কম্পনেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জোশীমঠ।