জোধপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ
রামনবমী, হনুমান জয়ন্তীতে দেশের নানা জায়গায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এসেছিল। এ বার ইদ ও পরশুরাম জয়ন্তীর প্রাক্কালেও রাজস্থানের জোধপুরে জালোরি গেট অঞ্চলে পতাকা উত্তোলন এবং তা নামিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত কাল রাতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দু’পক্ষ একে অপরের দিকে পাথর ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন পুলিশকর্মী। আজ সকালেও ফের শুরু হয় গোলমাল। এই ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের নিজের জেলা জোধপুর। অশান্তির পরে তিনি শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন। এই ঘটনার পরেই আজ এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন মু্খ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব-সহ পদস্থ আমলারা তড়িঘড়ি হেলিকপ্টারে চেপে পৌঁছন জোধপুরে। জোধপুরের ১০টি থানা সংলগ্ন অঞ্চলে কার্ফু জারি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে উদয় মন্দির, নাগোরি গেট, খন্দ ফলসা, প্রতাপ নগর, দেব নগর, সুর সাগর এবং সরদারপুরা। আগামিকাল মধ্যরাত পর্যন্ত কার্ফু চলবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে।
গত কাল রাতে অশান্তির পরেই লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে পুলিশ। সংঘর্ষের খবর সামনে আসার পরেই কোনও রকম গুজব যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়।
এ দিকে মধ্যপ্রদেশের খারগোনেয় কার্ফু বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইদ, অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসব যেন বাড়িতেই উদ্যাপন করেন বাসিন্দারা। সমস্ত ধর্মীয় স্থানও বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ১০ এপ্রিল রামনবমীর মিছিল থেকে সেখানে অশান্তির সূত্রপাত হয়। তার জেরেই কার্ফু জারি করা হয় সেখানে।
আজ কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা গোটা ঘটনার দায় বিজেপির উপরে চাপিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, গুজরাত, কর্নাটকের মতো যে সব রাজ্যে ভোট আসন্ন, সেখানে পরিকল্পিত ভাবে গোলমাল তৈরি করা হচ্ছে। অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশ বা উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা ভোট শেষ হয়ে যাওয়ায় সেখানে আর অশান্তি উধাও। সুরজেওয়ালার অভিযোগ, বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। যদিও সুরজেওয়ালার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। জোধপুরের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, অশান্তির ঘটনায় অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ করা না হলে জালোরি গেটে ব্যাপক প্রতিবাদে শামিল হবেন তাঁরা।