—প্রতীকী চিত্র।
নিজের সই করা চাকরির চিঠিটা দেখে সন্দেহ হয়েছিল খোদ মন্ত্রীর। সে জন্য সই এবং সিলমোহর পরীক্ষার জন্য দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাতেই ফাঁস হয়ে গেল সব জালিয়াতি। যদিও শেষ মুহূর্তে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী ভূমা অখিলা প্রিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন আলি নামে এক যুবক। মন্ত্রীকে ওই যুবক অভিযোগ করেন, খোদ মন্ত্রীর নির্দেশই মানছেন না পর্যটন দফতরের আধিকারিকরা।
কী সেই নির্দেশ?
যুবকের দাবি ছিল, তাঁকে পর্যটন বিভাগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মন্ত্রী প্রিয়া। মন্ত্রীর সই এবং সিলমোহর দেওয়া চিঠিও রয়েছে তার কাছে। কিন্তু, তাও চাকরি পাচ্ছেন না তিনি।
আরও পড়ুন:
হায়দরাবাদের স্নুকার পার্লারে কর্মীকে ছুরির কোপ, গ্রেফতার তিন
কেন এই দ্বিচারিতা! মন্ত্রীর কাছে সেটাই জানাতে গিয়েছিলেন যুবক। আলি নামে ওই যুবকের দেখানো চিঠি দেখে সন্দেহ হয় অখিল প্রিয়ার। এমন কোনও চিঠি আদতে দিয়েছিলেন বলে মনে করতে পারছিলেন না তিনি। সন্দেহ হওয়ায় চিঠি পরীক্ষা করতে পাঠান প্রিয়া।
পরে মন্ত্রী জানান, আগে ওই যুবক চাকরির জন্য তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিল। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘নান্দিয়াল ও আল্লাগাড্ডায় আমার কাছে চাকরির আর্জি নিয়ে বেশ কয়েক বার এসেছিল সে। তার অনুরোধ বিবেচনা করে দেখব বলে আশ্বাস দিয়েছিলাম।”
তবে মন্ত্রী অখিলা প্রিয়া কোনও আইনি পদক্ষেপ করেননি আলির বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র পুরো ঘটনাটি দফতরের আধিকারিকদের জানিয়েছেন। পাশাপাশি, এ ধরনের চিঠিকে গুরুত্ব না দিতে দফতরের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তকে সতর্ক করে দিতে নির্দেশ দেন পুলিশকে।
কিন্তু কাকে সতর্ক করবে পুলিশ! ঘটনার পর থেকে একেবারে বেপাত্তা আলি।