হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনে পড়ুয়ারা। —ফাইল চিত্র
ছাত্র-আন্দোলনের জেরে কিছুটা পিছু হঠল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে ফি বৃদ্ধি ৩০ গুণ থেকে কমিয়ে ১০ গুণ করার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় পডু়য়ারা। তাঁদের দাবি, বৃদ্ধির পুরোটাই প্রত্যাহার করে আগের হারেই ফি নিতে হবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হস্টেলের রুম রেন্ট দাড়িয়েছে সিঙ্গল বেডের ক্ষেত্রে মাসিক ২০০ টাকা এবং ডাবল বেডের ক্ষেত্রে মাসিক ১০০ টাকা। অন্যান্য যে সব ফি বৃদ্ধির ঘোষণা হয়েছিল, সেগুলিও অনেকটাই কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আর্থিক ভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সেই ফি-তে ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। যদিও সেই ছাড় কতটা, সেটা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি।
আগে কেমন ছিল হস্টেলের খরচ? বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের সিঙ্গল রুমের ভাড়া ছিল মাসিক ২০ টাকা। আর ডাবল শেয়ারিং বেডের ভাড়া দিতে হত মাসিক ১০টাকা। গত ১৯ বছর ধরে সেই রীতিই চলে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এক ধাক্কায় ২০ টাকার ফি করা হয় ৬০০ টাকা এবং ১০ টাকার ফি করা হয় ৩০০ টাকা। অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রেই ৩০ গুণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। প্রায় একই হারে বাড়িয়ে দেওয়া হয় হস্টেলের অন্যান্য খরচও।
আরও পডু়ন: বাইরে নয়, ৬৭ একরের মধ্যেই মসজিদের জন্য জমি চায় মুসলিম পক্ষ
আরও পডু়ন: অযোধ্যার পর শবরীমালা-রাফাল, কাল আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দেবেন প্রধান বিচারপতি
কিন্তু ছাত্র সংসদ এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে। কয়েক দিন ধরে আন্দোলন চলছিলই। তার মধ্যেই সোমবার জেএনইউ-এর সমাবর্তনের দিন সেই বিক্ষোভ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাম্পাস। তুমুল বিক্ষোভে কার্যত ভণ্ডুল হয় অনুষ্ঠান। আটকে পড়েন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। ছাত্র বিক্ষোভে জলকামান ছোড়ে পুলিশ। তার পরেও ক্যাম্পাসে আন্দোলন চলছিলই। কার্যত বন্ধ ছিল পঠনপাঠনও।
তার মধ্যেই আজ কর্তৃপক্ষের তরফে ফি বৃদ্ধি আংশিক প্রত্যাহারের ঘোষণা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত টুইট করে জানিয়ে ছাত্রদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার আর্জি জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষাসচিব আর সুব্রহ্মণ্যম। কিন্তু ছাত্রদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত তাঁরা মানতে নারাজ। ফি বৃদ্ধি পুরো প্রত্যাহার না হলে তাঁরা আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরবেন না।