রামজল মীনা। ছবি: সংগৃহীত।
কাজের ফাঁকে পড়াশোনা করে দিল্লির জওহরলার নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক নিরাপত্তা রক্ষী। রামজল মীনা।
রাজস্থানের ভাজেরা গ্রামে খুবই দরিদ্র পরিবারে জন্ম রামজল মীনার। গ্রামেরই একটা সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি। পড়া ছেড়ে বাবার সঙ্গে কাজ শুরু করেন। কিন্তু পড়ার ইচ্ছা কোনও দিনই তাঁর যায়নি। গত বছর রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং হিন্দি নিয়ে স্নাতক হন।
দিল্লির মুনিরকার একটি একচালা ঘরে বাস মীনার। স্ত্রী এবং তিন মেয়ের সঙ্গে থাকেন মীনা। নিরাপত্তা কর্মীর চাকরি থেকে পেট চলার মতো উপার্জন করে নেন মীনা। তাতে দরিদ্র কাটে না। কিন্তু তার মাঝেও নিজের পড়া চালিয়ে যান মীনা। ডিউটি শুরুর আগে এবং পরে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেন মীনা। রুশ ভাষা নিয়ে পড়তে চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কর্নাটক জট কাটার ইঙ্গিত, ‘আগামিকালের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেব’, সুপ্রিম কোর্টে বললেন স্পিকার
কী বলছেন মীনা?
মীনা বলেন, ‘‘জেএনইউ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পৃথক কারণ সামাজিক ভেদাভেদ এখানে নেই। শিক্ষক এবং পড়ুয়া— সকলেই আমাদের উৎসাহিত করেছেন, এখন তাঁরা আমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আমি নিজেকে রাতারাতি বিখ্যাত মনে করতে শুরু করেছি।’’
আরও পড়ুন: কলকাতায় বৃষ্টি, অস্বস্তিকর গরম থেকে সাময়িক মুক্তি
সিভিল সার্ভিসেও বসার ইচ্ছা মীনার। দেশ ঘুরে দেখারও ইচ্ছা। আর সে কারণেই বিদেশি ভাষা নিয়ে পড়তে চান, জানান তিনি। তবে চাকরির সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা জেএনইউয়ে সম্ভব নয়। মীনা তাই নাইট ডিউটির জন্য আবেদন করেছেন।
জেএনইউয়ের চিফ সিকিউরিটি অফিসার নবীন যাদব বলেন, ‘‘মীনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। তাঁর জন্য যা কিছু করার আমরা করব।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।