ধিক্কার শাসকের ঘর থেকেও

সমালোচনা উঠে আসতে শুরু করল শাসক শিবিরের অন্দর মহল ও তাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৩৬
Share:

অমিতাভ কান্ত এবং কে বিজয় রাঘবন।

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এ মুখোশধারীদের তাণ্ডব নিয়ে বিরোধীরা তো বটেই সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে ধিক্কার। রাত জেগেছে মুম্বই। দিকে দিকে হচ্ছে প্রতিবাদ। এ বার সমালোচনা উঠে আসতে শুরু করল শাসক শিবিরের অন্দর মহল ও তাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকেই।

Advertisement

নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে বিজয় রাঘবন মোদী সরকারের বিশেষ আস্থাভাজন দুই মুখ। আর গৌতম গম্ভীর তো পূর্ব দিল্লির বিজেপি
সাংসদ। তিন জনেই জেএনইউয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিংসার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

নীতি আয়োগের অমিতাভ যেমন লিখছেন, ‘‘জেএনইউ বরাবরই প্রাণবন্ত বিতর্ক, আলোচনা ও বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সহাবস্থানের কেন্দ্র। যেটা ঘটল, সেটা চরম দুঃখের ও বেদনাদায়ক। ক্যাম্পাসে এই হিংসার নিন্দা করছি দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। এটা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না।’’ একসুর কেন্দ্রীয় সরকারের উপদেষ্টা রাঘবনও। তাঁর কথায়, ‘‘ক্যাম্পাস শেখার জায়গা। ভিন্ন ভিন্ন মতের মানুষের মধ্যে আলোচনা ও তাত্ত্বিক বিতর্কের জায়গা। গবেষণার কেন্দ্র এটি। কিন্তু জেএনইউয়ে যা ঘটেছে, বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে, এটা সমস্বরে নিন্দার যোগ্য। আশা করব সেখানে খুব শীঘ্র শান্তি ও শুভবুদ্ধি ফিরে আসবে।’’

Advertisement

এই দু’জন তো তা-ও সরকারি পদাধিকারী। জেএনইউয়ের স্থানীয় সাংসদ, বিজেপির মীনাক্ষী লেখি যে ভাবে গত কাল এবিভিপির বিরুদ্ধে ওঠা গুন্ডাগিরির অভিযোগ আড়াল করতে বাম ছাত্রদের আন্দোলনের দিকে আঙুল তুলেছিলেন, একই দলের সাংসদ হলেও গম্ভীর কিন্তু আজ তেমন একপেশে অবস্থান নেননি। প্রাক্তন ক্রিকেটার স্ট্রেট ব্যাটে নিয়েছেন বিষয়টিকে।

গত কাল মুখ না খুললেও আজ গম্ভীর টুইটারে লিখেছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এমন হিংসা সম্পূর্ণ ভাবে ভারতীয় নীতি-আদর্শের বিরোধী। মতাদর্শ যা-ই হোক, কিংবা যে দিকেই তাঁদের ঝোঁক থাক, ছাত্রদের এ ভাবে নিশানা করা যায় না কোনও মতেই।’’ শাসক শিবির থেকে উঠে আসা এই নিন্দা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা দিল্লির পুলিশ যাঁর অধীনে সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কতটা গায়ে মাখছেন, সে প্রশ্ন
অবশ্য আলাদা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement