জিতনরাম-অমিত সাক্ষাৎ। ছবি: পিটিআই।
শেষ পর্যন্ত সরাসরি বিজেপিতে নয়, এনডিএ জোটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি। আজ দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি জানান, ‘‘লালু-নীতীশকে আটকাতে বিজেপির সঙ্গে মিলেই লড়়ব।’’ এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছে জেডিইউ। দলের সাংসদ কে সি ত্যাগি বলেন, ‘‘মাঁঝির এখন এক জন মাঝি প্রয়োজন।’’
সূত্রের খবর, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিকদের আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার জন্যই জিতনরামকে দিল্লিতে ডাকেন অমিত শাহ। এর আগে এনডিএতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে জিতনরাম ২০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি সভাপতি তাঁকে ১৫ জুন পর্যন্ত সময় দেন।
অমিত শাহ ছাড়়াও দিল্লিতে বিজেপির কয়েক জন নেতার সঙ্গে দেখা করবেন জিতনরাম। বিধানসভা নির্বাচনে লড়়ার জন্য বিজেপির কাছে ৫০টি আসন দাবি করেছেন তিনি। যদিও বিজেপি তাঁকে ১০-১২টির বেশি আসন দিতে নারাজ। মনে করা হচ্ছে, আরজেডি-জেডিইউ জোটের পরে জিতনরামের কাছে এনডিএ-তে যোগ দেওয়া ছাড়়া কোনও উপায় ছিল না। আর বিজেপিরও দলিত তথা মুষাহর নেতা জিতনরামকে দরকার ছিল। ইতিমধ্যেই মাঁঝির সমর্থনকারী কয়েকজন জেডিইউ বিধায়ক বিজেপির-তে আশ্রয় নিয়েছেন। আরও কয়েক জন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে খবর রটেছে। নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বাঁচাতে মাঁঝির এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরগুলি।
আজ পটনাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এনডিএ জোট-শরিক লোকজনশক্তি পার্টির নেতা রামবিলাস পাশোয়ান জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘বিজেপি যাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করবে আমরা তাঁকেই মেনে নেব।’’ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, ‘‘জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে দলের সংসদীয় বোর্ড।’’