জিম করবেট জাতীয় উদ্য়ানের প্রবেশদ্বার। ফাইল ছবি।
উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের নাম পরিবর্তন? সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।
সম্প্রতি জাতীয় উদ্যান পরিদর্শনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে। পরিদর্শন সেরে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা খাতায় নিজের নাম স্বাক্ষরের পাশাপাশি তিনি জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের বদলে লেখেন রামগঙ্গা জাতীয় উদ্যান। কিন্তু তিনি করবেটের নাম লিখলেন না কেন? জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, করবেটের নাম বদলে রামগঙ্গা জাতীয় উদ্যান রাখা হবে।
এর পরই বিবৃতি জারি করেন জাতীয় উদ্যানের ডিরেক্টর। তাতে লেখা হয়েছে, ‘গত ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় পরিবেশ, অরণ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে আমাদের জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, এই জাতীয় উদ্যানের নাম বদলে রামগঙ্গা জাতীয় উদ্যান রাখা হবে।’
১৯৩৫ সালে জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকাকে জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি দিয়ে নাম রাখা হয় হেইলি জাতীয় উদ্যান। ১৯৫৬ সালে বিখ্যাত শিকারি এডওয়ার্ড জেমস করবেটের নামে নামকরণ হয় জিম করবেট জাতীয় উদ্যান। ভারতের প্রথম জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতিও জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের মাথাতেই। ৫২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জু়ড়ে এই জাতীয় উদ্যানে ২৫২টি বাঘের বসবাস। এ ছাড়াও হাতি, চিতাবাঘ, নীলগাই, সম্বরের দেখা মেলে এই জাতীয় উদ্যানে।