দলিত আন্দোলনকারী ভানুভাই ভানকরের আত্মাহুতি ঘিরে উত্তাল হল গুজরাত। আজ গাঁধীনগর, অমদাবাদ ও মেহসানা জেলার পাটনে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। অমদাবাদে সভায় যাওয়ার পথে বিধায়ক ও দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণীকে আটক করে পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দলিত বিক্ষোভ ঘিরে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে বিজেপি সরকার রীতিমতো বিপাকে পড়েছে বলে মত রাজনীতিকদের।
এক দলিত পরিবারকে জমি দেওয়ার দাবিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি পাটনে জেলাশাসকের দফতরের সামনে আত্মাহুতি দেন ভানুভাই। তাঁর পরিবার দেহ নিতে রাজি হয়নি। ফলে এখনও গাঁধীনগর সিভিল হাসপাতালেই পড়ে রয়েছে ভানুভাইয়ের দেহ। সেই সঙ্গে বাড়ছে উত্তাপ। ভানুভাইয়ের মৃত্যুকে ঘিরে বিজেপি সরকারের বিরোধিতায় নামেন বিরোধী নেতা হার্দিক পটেল, জিগ্নেশ মেবাণী, অল্পেশ ঠাকোররা। ভানুভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। বিজেপি বিধায়কেরা দেখা করতে গেলে তাঁদের রীতিমতো তাড়া করেন ক্ষুব্ধ দলিত যুবকেরা।
গত কালই উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল জানিয়ে দেন, ভানুভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে তদন্তের জন্য বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন হবে। পরিবারের এক জন সরকারি চাকরিও পাবেন। দলিতদের জমি দেওয়া-সহ ভানুভাইয়ের দাবি মেনে নেওয়ারও ইঙ্গিত দেয় মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণির সরকার। তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। জিগ্নেশ দাবি করেন, সরকারকে ওই দাবিগুলি মেনে নির্দেশিকা জারি করতে হবে। আজ অমদাবাদের সারঙ্গপুরে অম্বেডকরের মূর্তির সামনে জমায়েতেরও ডাক দেন তিনি। সকাল থেকেই গাঁধীনগর, অমদাবাদ, পাটন, উঞ্ঝায় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। সারঙ্গপুরে সভায় যাওয়ার পথে আটক করা হয় জিগ্নেশকে। পরে দলিত নেতা টুইটারে বলেন, তাঁকে গাড়ি থেকে টেনে বের করে আটক করে পুলিশ। অমদাবাদ পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জে কে ভট্টের দাবি, জিগ্নেশ পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বেশ কয়েক জন দলিত নেতা শহরে শান্তি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও জিগ্নেশ সে কথা বলেননি। ফলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁকে আটক করা হয়েছে। ভট্টের কথায়, ‘‘হিংসা বরদাস্ত করা হবে না।’’ জিগ্নেশ আটক হওয়ার পরেই ভদাজ এলাকায় গাড়িতে আগুন ধরানো হয়। সারঙ্গপুর ও ভদাজ এলাকা থেকে ৭৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।