ঝুমুর শিল্পী বুটনদেবী। —নিজস্ব চিত্র।
বর্ষার বিকেল। একটু পরেই নামবে সন্ধ্যা। তার আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল। রাঁচী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বুন্দুতে ঝুমুর শিল্পী বুটন দেবীর বাড়ি তখন গানের রিহার্সাল চলছে। দিন কয়েক পরেই রাঁচীতে রয়েছে অনুষ্ঠান। আর বুটন দেবীর অনুষ্ঠান মানেই তো উপচে পড়বে দর্শক। বছর পঞ্চাশের বুটন দেবী ঝুমুর গানের নাচনী। বছর পঞ্চাশ পেরিয়েছে তো কী হয়েছে? বুটনদেবী বলেন, ‘‘ঝুমুরের গান গাইতে গাইতে যখন আমি নাচি তখন আমার বয়সের খেয়াল থাকে না। কোনও ক্লান্তি লাগে না।’’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে উপহার ভারতীয় ব্যান্ডের
বুটনদেবী তবু বলেন, ‘‘গ্রামে-গঞ্জে আগে দর্শকরা যে কোনও অনুষ্ঠানে ঝুমুর গান শুনতে চাইতেন। এখন পাল্টে গিয়েছে। ওঁরা শুনতে চান ভোজপুর চটুল গান। তাই টাকা উপার্জনের জন্য গ্রামের শিল্পীরা এখন ঝুমুর না শিখে ভোজপুরি গান শিখছে। কিন্তু আজকের প্রজন্মের কাছেও ঝুমুর শিল্পকে পৌঁছে দেওয়াই আমার চ্যালেঞ্জ।’’
সে ভাবে সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি। তবে তা নিয়ে তাঁর তেমন কোনও দুঃখ নেই। গান গেয়ে, নেচে যেটুকু উপার্জন করতে পেরেছেন, তাতেই তিনি খুশি। বুটনদেবী বলেন, ‘‘নাচনীদের জীবন খুব দুঃখের। কিন্তু এই পরিচয়েই আমি এত দর্শকের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। ঝুমুর গানের নাচনীর পরিচয়েই বাকি জীবনটাও কাটাতে চাই।’’