মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
নিজের ১২ তম স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে বসেই মদ খাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। মত্ত যুবক লাঠি নিয়ে স্ত্রীকে আক্রমণ করেন।
ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার তারাপুর গ্রামের। অভিযুক্তের নাম রামচন্দ্র তুরি। ৪০ বছর বয়সি স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছেন তিনি। মৃতের নাম সাবিত্রী দেবী। তিনি রামচন্দ্রের ১২ তম স্ত্রী। এর আগে আরও ১১ জন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ঘরেই মদের আসর বসিয়েছিলেন রামচন্দ্র এবং সাবিত্রী। তাঁদের তিন পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছে। অভিযোগ, মদের ঘোরে স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন রামচন্দ্র। মারের চোটেই প্রাণ হারিয়েছেন মহিলা।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা অভিযুক্তকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করে। মৃত মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগে থেকেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। নিজের আগের পক্ষের স্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর আচরণ ভাল ছিল না। প্রায় প্রত্যেকেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।