সন্তোষী কুমারী। ছবি:সংগৃহীত।
স্কুলে দুর্গাপুজোয় ছুটিতে জুটছিল না মিড ডে মিল। আধার-এর সঙ্গে ‘লিঙ্ক’ না থাকায় বাতিল রেশন কার্ডে মিলছিল না সরকারি চাল, ডাল। বাবা দিনমজুর। বাড়িতে নেই টাকাপয়সা। দিনের পর দিন পেটভরা খাবার না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারের একরত্তি মেয়েটি। দুর্গাপুজোর সময় মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুন:কম্যান্ডারকে পিষল পাচারকারীর গাড়ি
ঝাড়খণ্ডের সিমডেগার জলডেগা জেলার কারিমাটি গ্রামে ওই অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে রাজ্যে। রেশন কার্ড বাতিলের কথা মেনে নিলেও, অভুক্ত থেকে বছর এগারোর সন্তোষী কুমারী মারা গিয়েছে বলে স্বীকার করতে নারাজ প্রশাসন। প্রশাসনিক আধিকারিকরা দাবি করছেন, ম্যালেরিয়ায় মরেছে সন্তোষী। কিন্তু বিরোধী শিবিরের একাংশের অভিযোগ, গত বছর জানুয়ারি মাস থেকে ঝাড়খণ্ডে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে আধারকে জুড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া জোর কদমে শুরু করা হয়েছে। সে জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা না দেওয়া হলেও গত মাসে প্রশাসন ঘোষণা করে, সরকারি তালিকায় ১১ লক্ষ ভুয়ো নাম কেটে দেওয়া হয়েছে।
তার জেরে বাতিল হয় অনেকের রেশন কার্ড। ‘শিকার’ হয় সন্তোষী পরিবারও। সম্প্রতি ওই গ্রামে যান স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কয়েক জন প্রতিনিধি। তাঁদের দাবি, অগস্ট মাসে সন্তোষীর পরিবারের দুরবস্থার কথা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। মেয়ে মারা যাওয়ার পর তাঁদের কাছেই সব নালিশ জানান সন্তোষীর মা কোইলিদেবী। সিমডেগার ডিসি মঞ্জুনাথ ভজন্তি বলেন, ‘‘এত দিন মেয়েটির পরিবার অভিযোগ করেননি। কয়েক দিন আগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকেদের এ সব জানান।’’