জলের পাইপ চুরি হয়ে গিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
রেলস্টেশন, কিংবা ট্রেনের অন্দরে এই দৃশ্য হামেশাই দেখা যায়। কোথাও চেন দিয়ে বাঁধা স্টিলের গ্লাস, তো কোথাও আবার শৌচালয়ের মগ অবধি লোহার শিকলে বন্দি। কারণ খুঁজতে গেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শোনা যায়, হারিয়ে যাওয়া নয়, বরং চুরি আটকাতেই বেড়ি পরানো হয় গ্লাস, পেন কিংবা মগের হাতে-পায়ে। রেলের বাতানুকূল কামরা থেকে চাদর কিংবা বালিশ গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনাও নতুন নয়। সেই তালিকাতেই এ বার নতুন সংযোজন শৌচালয়ের ট্যাপ এবং পাইপের ফিটিং। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্টেশনের অত্যাধুনিক শৌচাগার থেকে খোয়া গিয়েছে ট্যাপ এবং পাইপ ফিটিং, যার মোট মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা!
এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, চুরি হওয়া জিনিসগুলির মধ্যে রয়েছে জেট স্প্রে, কল, টয়লেট সিট কভার, বটল ট্র্যাপস এবং স্টপকক ভালভ। তবে চুরির ঘটনায় কারা যুক্ত রয়েছেন, তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি। অনুমান, রেলওয়ের কিছু কর্মচারী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী চুরির ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন।
যাত্রীদের মধ্যেই এক জন খোয়া যাওয়া জিনিসপত্রের ছবি শেয়ার করে পোস্ট করেছিলেন এক্স হ্যান্ডলে। সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা ছবিগুলিতে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, ওয়াশ বেসিনের ট্যাপগুলি এবং ইউরিনালের সঙ্গে যুক্ত জলের পাইপগুলি উধাও হয়ে গিয়েছে।
সাত দিন আগেই মুম্বই ডিভিশনের সেন্ট্রাল রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাসের শৌচালয়ে বেশ কিছু অত্যাধুনিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই চুরি হয়ে গেল সে সবের অনেক কিছুই।
গত শনিবার ‘রানিং রুম’-এর শৌচালয়ে প্রথম এমন চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ। রানিং রুম হল যেখানে ট্রেনের চালক এবং গার্ডেরা বিশ্রাম নেন। সেখান থেকে আটটি বিব কক, ন’টি স্টপ কক এবং জেট স্প্রে চুরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সোমবার মহিলাদের এবং পুরুষদের দু’টি শৌচাগার এবং নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শৌচালয় থেকে তিনটি পিলার কক খোয়া গিয়েছে।
মধ্য রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক স্বপ্নিল নীলা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রেলওয়ে এই চুরির ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। রেল পুলিশের কাছে একটি এফআইআর দায়ের করার পাশাপাশি, নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।