JEE

বছর যাতে নষ্ট না হয়, তাই পরীক্ষা

এনটিএ-র ডিরেক্টর জেনারেল বিনীত জোশীর বক্তব্য,  দেরিতে পরীক্ষার কারণে পড়ুয়াদের একটি পুরো বছর যাতে নষ্ট না-হয়, সেই চেষ্টাতেই করোনা-কালেও সুষ্ঠু ভাবে ওই দুই প্রবেশিকা পরীক্ষা আয়োজনের এই চেষ্টা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২০ ০৪:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর দাবি ছিল, পরীক্ষার্থীদের অনুরোধেই সেপ্টেম্বরে সর্ব ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা (জেইই-মেন) এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট-ইউজি) নেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন তাঁরা। আর আজ ওই দুই পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা এনটিএ-র ডিরেক্টর জেনারেল বিনীত জোশীর বক্তব্য, দেরিতে পরীক্ষার কারণে পড়ুয়াদের একটি পুরো বছর যাতে নষ্ট না-হয়, সেই চেষ্টাতেই করোনা-কালেও সুষ্ঠু ভাবে ওই দুই প্রবেশিকা পরীক্ষা আয়োজনের এই চেষ্টা।

Advertisement

পরীক্ষা পিছোনোর বিষয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী নেতারা ভিডিয়ো-আলোচনায় বসেছেন বুধবার। অতিমারির তাণ্ডবের মধ্যেও পরীক্ষা চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে এখনও সরব এসএফআই, এআইএসএ-র মতো ছাত্র সংগঠনগুলি। এই প্রেক্ষিতে বিনীতের বক্তব্য, “এক দল পড়ুয়া এবং অভিভাবক চান পরীক্ষা ফের পিছিয়ে যাক। অন্যরা চান তা নেওয়া হোক সেপ্টেম্বরেই। প্রত্যেকের দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। তাই যত রকম সাবধানতা অবলম্বন সম্ভব, তা করেই পরীক্ষা আয়োজনের চেষ্টা হচ্ছে।…ইতিমধ্যেই পরীক্ষা দু’বার পিছিয়েছে। এখনও যদি পরীক্ষা নিয়ে পুরো এক বছর নষ্ট হওয়া আটকানো যায়, তাতে লাভ পরীক্ষার্থীদেরই।”

এ নিয়ে জল ক্রমশ ঘোলা হতে দেখে বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য এ দিন বৈঠকে বসেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, পরীক্ষা পিছোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া-না-নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রকের উপরেই। শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা পিছোনোর কথা ভাবলে, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই।

Advertisement

তবে পরীক্ষা পিছোনোর পক্ষে-বিপক্ষে দু’দিকেই পড়ুয়ারা থাকলেও, সেপ্টেম্বরে তা হয়ে যাওয়ার পক্ষেই পাল্লা ভারী বলে ইঙ্গিত বিনীতের। তাঁর দাবি, জেইই-মেনের ৮.৫৮ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ইতিমধ্যেই অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করেছেন ৭.৪১ লক্ষ জন। এ দিন দুপুর ১২টা থেকে নিট-ইউজির অ্যাডমিট কার্ড দিতে শুরু করার পরে প্রথম আড়াই ঘণ্টাতেই তা ডাউনলোডের সংখ্যা ৪.৫ লক্ষ। পরে শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রথম পাঁচ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ৬.৮৪ লক্ষে। তাঁর প্রশ্ন, “এ থেকে মনে হয় না কি যে, বেশির ভাগ পড়ুয়াই পরীক্ষায় বসার পক্ষপাতী?”

কিন্তু কোথাও স্থানীয় লকডাউনে পরীক্ষার্থীদের হলে যেতে অসুবিধা হবে না? কিংবা যে সমস্ত অঞ্চল বন্যা কবলিত? বিনীতের বক্তব্য, “পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে যাতে কারও অসুবিধা না-হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই চিঠি লিখে সাহায্য চাওয়া হয়েছে প্রত্যেক রাজ্যের কাছে। কারও বাড়ি কন্টেনমেন্ট জ়োনে পড়লেও, অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে সেখান থেকে বেরনোর সুযোগ পাবেন তিনি। পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব যাঁদের, পাস দেওয়া হয়েছে তাঁদের জন্যও। আর প্রাকৃতিক বিপর্যয় তো হতে পারে যে কোনও বছরই।”

কিন্তু সংক্রমণ? বিনীত বলছেন, পরীক্ষা কেন্দ্র স্যানিটাইজ় করা, পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি, মাস্ক-স্যানিটাইজ়ারের ব্যবহার-সহ বিভিন্ন সাবধানতার কথা জানিয়ে পড়ুয়াদের জন্য কোভিড-নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই জারি করেছেন তাঁরা। জোর দেওয়া হচ্ছে হলে ঢোকার সময়ে, পরীক্ষা কেন্দ্রে এবং সেখান থেকে বেরনোর সময়ে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে। যে কারণ, পৌঁছতে আসা অভিভাবকদের গেটের কাছে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। পরীক্ষা শেষেও পড়ুয়াদের ছাড়া হবে এক-এক করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement