JDU MP Sunil Kumar Pintu

‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক চা এবং শিঙাড়াতে সীমাবদ্ধ! মন্তব্য করে হইচই ফেললেন জোটের শরিক দলেরই সাংসদ

সুনীল যে দলের সাংসদ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সেই জেডিইউ ‘ইন্ডিয়া’র শরিক। জেডিইউ-এর শীর্ষ নেতা নিজেও অতীতে জোটের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:০০
Share:

বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের ছবি। —ফাইল চিত্র ।

বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক চা-শিঙাড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। মন্তব্য করলেন জেডিইউ সাংসদ সুনীলকুমার পিন্টু। কয়েক দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে সুনীল জল্পনা তৈরি করেছিলেন। এ বার তিনি ‘ইন্ডিয়া’কে এক হাত নিলেন। সুনীলের দাবি, যত ক্ষণ না লোকসভায় আসনবণ্টন নিয়ে কোনও আলোচনা হবে, তত দিন ইন্ডিয়ার বৈঠক চা-শিঙাড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সুনীল যে দলের সাংসদ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সেই জেডিইউ ‘ইন্ডিয়া’র শরিক। জেডিইউ-এর শীর্ষনেতা নিজেও অতীতে জোটের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। যদিও সুনীল বার বারই দাবি করেছেন, তিনি মনেপ্রাণে বিজেপির সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তিনি এ-ও দাবি করেছিলেন যে, বিজেপি নেতাদের কথাতেই তিনি জেডিইউ দলে যোগ দিয়েছিলেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি আরজেডির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন না বলেও জানিয়েছেন। সুনীল জানিয়েছেন, নীতীশ তাঁকে পদত্যাগ করতে বললে তিনি যে কোনও সময়ে তা করতে রাজি।

এর আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল নিয়ে উচ্ছ্বসিত সুনীল মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘নির্বাচনের ফলাফল দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এই স্লোগান দিয়েছিল। আমিও সহমত। হিন্দি বলয়ের লোকেরা মোদীকে বিশ্বাস করেছে।’’

Advertisement

সুনীলের এই মন্তব্যে দলের অন্দরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনা করে দলের মুখপাত্র নীরজ কুমার মন্তব্য করেছিলেন, সুনীল যদি প্রধানমন্ত্রী মোদীর দ্বারা প্রভাবিত হন তা হলে তাঁর লোকসভা সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement