নীতীশ-প্রশান্ত বৈঠক, মতবদল জেডিইউয়ের

এনডিএ-র শরিক দল জেডিইউ এই বিল নিয়ে গোড়া থেকেই দোলাচলে ভুগেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৩৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি নিয়ে ভোটাভুটির আগে তাঁর বক্তৃতায় জেডিইউ এবং বিজেডি-র সাংসদদের বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।

Advertisement

সে দিন তৃণমূলের ডাকে সাড়া দেয়নি বিহার এবং ওড়িশার শাসক দল। কিন্তু গত কাল জেডিইউয়ের সহ- সভাপতি তথা তৃণমূলের নির্বাচনী কৌশলের দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকের পরে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেডিইউ এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইনকে বিপজ্জনক বলে মনে করে। দলের জাতীয় মুখপাত্র কে সি ত্যাগী এবং প্রশান্ত কিশোর যা বলেছেন, তার মর্মার্থ, ‘যদি এনআরসি না থাকত তা হলে নাগরিকত্ব আইনকে মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু এই দু’টিকে জুড়ে দেওয়া হলে তা চরম বৈষম্যমূলক বলেই মনে করেন নীতীশ কুমার।’

তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মধ্যে ‘হাইফেনটিকে’ শনাক্ত করে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিরোধিতা করার প্রথম কৌশলটি নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে সংসদে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় করেছেন তৃণমূলের সংসদীয় নেতারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিক্ষোভ সামলে প্রশংসিত অফিসার

এনডিএ-র শরিক দল জেডিইউ এই বিল নিয়ে গোড়া থেকেই দোলাচলে ভুগেছে। এই বিলটি পর্যালোচনার জন্য তৈরি হওয়া সিলেক্ট কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আপত্তিসূচক নোট দেয় তারা। আবার আলোচনার সময়ে তাদের সাংসদেরা বিরোধিতা করলেও ভোটাভুটির সময়ে সমর্থনই করেন। বিলটি সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে যাওয়ার পর পটনা গিয়ে নীতীশের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন প্রশান্ত কিশোর। এর আগে নাগরিক সংশোধনী বিলে দলের নেতারা সমর্থন জানানোয় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। জানান, মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর আদর্শে বিশ্বাসী দলের নেতাদের এই সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement