শপথ-অনুষ্ঠান: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
রাষ্ট্রপতি ভবনে মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাকই পেলেন না শরিকেরা।
নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট গড়ে বিহারে সদ্য ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। তাই জেডিইউ-র আশা ছিল তাঁদের অন্তত দুই নেতা মন্ত্রী হচ্ছেনই। তা তো নয়ই, অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠিটুকুও আসেনি বলে জানিয়েছেন নেতারা। একই অভিযোগে সরব হয়েছেন অন্য শরিকেরাও।
আরও পড়ুন: ব্রাত্য জেডিইউ, খোঁচা লালুর
শরিক দলের মন্ত্রীদের দায়িত্বে কোনও রদবদল করেননি মোদী। কিন্তু নীতীশের দলের কারওর ডাক না-পাওয়া নিয়ে বিস্ময় তৈরি হয়েছে রাজধানীতে। জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগীর কথায়— ‘‘মন্ত্রিত্ব! অনুষ্ঠানের একটা চিঠিও পাঠানো হয়নি।’’ বিজেপি অবশ্য বিষয়টি নিয়ে চুপ। তবে লালুপ্রসাদ বলতে ছাড়েননি— ‘‘নীতীশের বোঝা উচিত, বাকিদের ছেড়ে যে চলে যায়, তাকে কেউ ডাকে না!’’ আর এক পুরনো শরিক শিবসেনার সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘ডাকেইনি। দেশে মনে হচ্ছে, সরকারের নয় এটা যেন বিজেপির দফতর বদল। সংখ্যার ঔদ্ধত্যে বিজেপি ভুলে গিয়েছে ৩০টি দল নিয়ে এনডিএ!’’
জেডিইউ শিবিরে আবার শোনা যাচ্ছে অন্য তত্ত্বও। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার আশায় কালই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন দলের সাংসদ আরসিপি সিংহ। জেডিইউ-য়ের একটি অংশ বলছে, আরসিপি-কে মন্ত্রী করা হলে কে সি ত্যাগীর মতো বর্ষীয়ানরা ক্ষুব্ধ হতেন। ইতিমধ্যেই বিদ্রোহ করে বসে আসেন শরদ যাদবেরা। নীতীশ চাননি মন্ত্রিত্বের কারণে নতুন করে দল ভাঙুক। তাই কৌশলী পদক্ষেপে মন্ত্রিত্ব এড়িয়ে গিয়েছেন।
আজকের রদবদলের পরে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫। বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, চাইলে এখনও ছ’জনের জায়গা হতে পারে। সুতরাং ভবিষ্যতে শরিক দলগুলিকে মন্ত্রিসভায় আনার সুযোগ হাতে রইল মোদীর। কিন্তু প্রশ্ন হল, ভোটের আর দু’বছরও নেই। চতুর্থ রদবদলের ঝুঁকি কি মোদী নেবেন?