বিজেপির সঙ্গে জোট ছাড়তে পারছেন না নীতীশ কুমার। কিন্তু দর কষাকষি করতে হুঙ্কারও দিচ্ছেন দিল্লিতে বসে।
রাজধানীতে এসেও নরেন্দ্র মোদী কিংবা অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেননি নীতীশ। কিন্তু তাঁদের নাকের ডগায় নিজের দলের বৈঠক করেছেন। বিজেপির নাম না-করেই বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতায় কোনও আপস করবেন না। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের মতো ‘কঠিন সময়েও’ জেডিইউ যে ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, তা মনে করিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের যে মুছতে চেষ্টা করবে, সে নিজেও মুছে যাবে।’’ একই সঙ্গে রাহুল গাঁধীকে উদ্দেশ করে নীতীশের মন্তব্য, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্ত আরজেডি-কে নিয়ে মত খোলসা করুন, তবেই কথা হবে।’’
আসলে বিজেপি ও কংগ্রেস— দু’পক্ষের জন্যই দরজা খোলা রাখছেন নীতীশ। বার্তা স্পষ্ট, বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। না-হলে বিকল্প পথ। কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের মতে, বিরোধী জোটে যাওয়ার হাওয়া তুললেও আসলে বিজেপির সঙ্গেই আসন সমঝোতা করতে চান নীতীশ। আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক মজবুত। তবে এটা ঠিক, বিজেপি জোটে নীতীশের হাঁসফাঁস অবস্থা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান আমাদের বাঁচিয়ে দিল নিকৃষ্টতম হওয়া থেকে, বললেন অমর্ত্য
বিজেপি নেতৃত্বের আশা, আলোচনায় জট কাটবে। নরেন্দ্র মোদীর একসঙ্গে সব ভোট করানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। অসম সংক্রান্ত নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতাও অবশ্য করেছেন। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙার দায় আজ ফের রাহুলের উপরে চাপিয়েছেন নীতীশ। বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘নীতীশের কোথাও যাওয়ার নেই। কংগ্রেস আরজেডি-কে ছাড়বে না। আবার রাহুল নীতীশকে চাইলেও তেজস্বী যাদবরা তাঁকে ইউপিএ-তে না নেওয়ার ব্যাপারে অনড়। ফলে নীতীশকে এখন বিজেপির সঙ্গেই রফা করতে হবে। অমিত শাহের সঙ্গে এই সপ্তাহের বৈঠকেই আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’’