তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। —ফাইল ছবি।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দল ও রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন। আজ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে নিজের ইস্তফাপত্র দিয়ে এলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। তাঁর পদত্যাগ গৃহীত হলে তৃণমূলের রাজ্যসভায় সাংসদ সংখ্যা দাঁড়াবে ১২। মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় দেড় বছর আগে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জহর।
আজ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন জহর। সূত্রের মতে, কিছু ক্ষণ কথোপকথনের পরে জহর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ‘আমার সময় শেষ’ বলে ধনখড়ের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন। ধনখড় তাঁকে জানান, রাজ্যসভায় জহরের অনুপস্থিতি অনুভব করবেন। জহর এক্স-এ লেখেন, “এরপর আমি আগের মতো স্বাধীন ভাবে বলতে ও লিখতে পারব। তবে কর্তৃত্ববাদ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, দুর্নীতি, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।” ইস্তফা দিয়ে তিন বছরের রাজনৈতিক জীবনের সমাপ্তি ঘটালেন জহর। ধনখড়ের কাছে সাংসদ হিসেবে স্নাতক-শংসাপত্র দাবি করেন বসেন তিনি। মজা করছেন বুঝে হেসে ফেলেন ধনখড়ও।
জহরের দাবি, ইস্তফা ঘোষণার পরে অন্যান্য দলের সাংসদদের থেকে ফোন পেয়েছেন। ব্যতিক্রম তৃণমূল। তবে তা নিয়ে খেদ নেই। আর জি কর কাণ্ডে মানুষের বিক্ষোভ আরও সংবেদনশীল ভাবে মোকাবিলা করা যেত বলে মনে করেন জহর। তাঁর মতে, জুনিয়র চিকিৎসকদেরও একটা পর্যায়ের পরে সংযত হওয়া প্রয়োজন।