রাজনাথ সিংহ। ফাইল চিত্র।
সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ প্রায় শেষের দিকে। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে চলতি বছরের শেষের দিকে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করা হবে। শুক্রবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
মহারাজা গুলাব সিংহের রাজ্যাভিষেকের ২০০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আগে জম্মুতে ৩৭ এবং কাশ্মীরে ৪৬টি বিধানসভা আসন ছিল। কিন্তু সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে জম্মুতে ৪২ এবং কাশ্মীরে ৩৭টি আসন হয়েছে। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্র হয়েছে। আমার মনে হয়, পুনর্বিন্যাসের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।’’
নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হওয়ার ঠিক দু’দিন পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিলেন।
২০১৪-র মে মাসে উপত্যকায় যে নির্বাচন হয়, সেখানে পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ২৫টি। এ ছাড়া ওমর আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি, কংগ্রেস ১২টি এবং অন্যান্যরা ৭টি আসন পেয়েছিল। বিজেপি এবং পিডিপি যৌথ ভাবে ম্যাজিক সংখ্যা ৪৪ ছাড়িয়ে ৫৩-য় পৌঁছয়। সেই জোটই ২০১৮ পর্যন্ত সরকার চালিয়েছে উপত্যকায়। পরে ২০১৮ সালের ১৯ জুন প্রায় সাড়ে তিন বছরের সম্পর্ক ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে বিজেপি। যার জেরে ইস্তফা দেন জম্মু-কাশ্মীরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। কারণ, বিজেপি-র সঙ্গে জোট বেঁধেই মেহবুবার দল পিডিপি উপত্যকায় সরকার চালাচ্ছিল। এর পর ২০১৯ সালের ৪ অগস্ট পর্যন্ত লাদাখ জম্মু-কাশ্মীরের অংশ ছিল। কিন্তু ৫ অগস্ট সংবিধানে সংরক্ষিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজ করে কেন্দ্র।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।