সৌগতকে খোঁচা জেটলির

বাজেট বিতর্কে উঠে এল রাজ্যের চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গ। এই সব সংস্থা কী ভাবে পশ্চিমবঙ্গে আর্থ-সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছে, তা নিয়ে লোকসভায় তৃণমূলকে নিশানা করে সরব হন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৫
Share:

বাজেট বিতর্কে উঠে এল রাজ্যের চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গ। এই সব সংস্থা কী ভাবে পশ্চিমবঙ্গে আর্থ-সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছে, তা নিয়ে লোকসভায় তৃণমূলকে নিশানা করে সরব হন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

Advertisement

নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে নগদের জোগান কমে যাওয়াটা অর্থনীতির পক্ষে ক্ষতিকর বলে সরব হয়েছেন অনেকেই। যদিও সরকার তা মানছে না। আজ বাজেট বিতর্কে জেটলি বলেন, ‘‘বহু দেশ নীতিগত ভাবে অনলাইন লেনদেনের পক্ষে। ফলে সে সব দেশে নগদের জোগান সীমিত হওয়া সত্ত্বেও অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী।’’ জেটলির কাছে সেই সব দেশের নাম জানতে চান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। জবাবে সৌগতকে উদ্দেশ করে জেটলি বলেন, ‘‘বাজারে বাড়তি নগদ থাকাটা আপনার রাজ্যেই আর্থ-সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করেছে। ২-১% বেশি সুদ পাওয়ার লোভে লোকে বেআইনি লগ্নি সংস্থার ফাঁদে পা দিয়ে ডুবেছে!’’ তখন এ নিয়ে আর কথা বাড়ায়নি তৃণমূল শিবির। তবে বিতর্কের শেষ দিকে সৌগতবাবু জানতে চান, নোট বাতিলের ফলে কত টাকা সরকারের ঘরে এসেছে। জেটলি জানান, ‘‘গণনা চলছে।’’ শুনে সৌগতবাবুর তির্যক মন্তব্য— ‘‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মীরা কি হাতে নোট গুনছেন?’’ জেটলি বলেন, ‘‘চূড়ান্ত সংখ্যা এলেই জানানো হবে।’’

রাজ্যসভাতেও একই বিতর্কে বলতে গিয়ে সরকারের নির্বাচনী বন্ড বাজারে আনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, ‘‘নাম লুকোতে অনেকে কুড়ির বদলে ১৯ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতেন দলকে। এখন সেই সীমা কমিয়ে দু’হাজার করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন ১৯০০ টাকা করে একাধিক বার চাঁদা দেবেন!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement