চিকিৎসক দীপা শর্মা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
একটি টুইটে লিখেছিলেন, ‘প্রকৃতি ছাড়া জীবনই বৃথা।’ কিন্তু সেই প্রকৃতিই যে তাঁকে টেনে নেবে সেটা ভাবতে পারেননি চিকিৎসক দীপা শর্মার পরিবার, আত্মীয়-পরিজনেরা। রবিবার হিমাচলপ্রদেশের কিন্নরে আচমকাই পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে নেমে এসেছিল ধস। সেই ধসেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দীপা-সহ ৯ পর্যটকের।
মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে দীপা টুইটে নিজের একটি ছবি দিয়ে পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাসিমুখে, গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন দীপা। ভারত-তিব্বত সীমান্তে নাগাস্তি পোস্টের কাছে ছবিটা তোলা। টুইটে ছবি শেয়ার করে দীপা লেখেন, ‘ভারতের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। এখান থেকে ৮০ কিলোমিটার গেলেই তিব্বত, যা চিন দখল করে রেখেছে।’
রবিবার দুপুর ১২.৫৯ মিনিটে সেই টুইট করেছিলেন দীপা। তার পরই দুপুর ১.২৫ মিনিটে সাংলা-চিটকুল রোডে বাস্তেরির কাছেই দুর্ঘটনার শিকার হন দীপা-সহ ৯ পর্যটক। সকলেরই মৃত্যু হয় ধসে চাপা পড়ে।
পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ছিলেন দীপা। থাকতেন রাজস্থানের জয়পুরে। প্রকৃতির টানে বার বার বেরিয়ে পড়েছিলেন এর আগেও। সে রকমই হিমাচল প্রদেশে প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে গিয়েছিলেন দীপা। কিন্তু সেই প্রকৃতিই তাঁকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিল।
বড় বড় পাথরের চাঁই ঝড়ের গতিতে নেমে আসছে পাহাড়ের গা বেয়ে। রবিবার হিমাচল প্রদেশের কিন্নরের এই দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে ভয়ানক দৃশ্য। বিশাল একটা পাথরের চাঁই এসে পড়ল নদীর উপরের একটি সেতুতে। সেটা মুহূর্তে পাথরের অভিঘাতে ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গেল। নদীতে ছিটকে পড়তে দেখা গেল বেশ কিছু বড় পাথর। কয়েক মনিটের মধ্যেই সব তছনছ করে দিয়েছে সেই ধস।