ফাইল চিত্র।
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর এক বছর পার হয়ে গেল। কোনও মীমাংসা তো দূরের কথা, এখনও তারা ‘নিখুঁত ভাবে তদন্ত’ চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আজ এক সিবিআই কর্তাকে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা।
গত বছর আজকের দিনে তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাটে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল। প্রথমে খুন সন্দেহ করা হলেও দু’বার ময়না-তদন্ত করে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরা জানান, এটি খুন নয়, আত্মহত্যার ঘটনা। অভিনেতা গভীর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।
দিন কয়েক আগে মুম্বইয়ের এক পড়ুয়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে আবেদন করেন যে, তথ্যের অধিকার আইনে সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হোক সুশান্তের মৃত্যু তদন্তের হাল-হকিকত কী। তবে সেই আর্জিতে কমিশন এখনও সাড়া দেয়নি।
গত এক বছরে এই মৃত্যুর তদন্ত নানা জটিল পথে ঘুরেছে। আর এই তদন্তে যে নামটি সব থেকে বেশি বার উঠে এসেছে, তা সুশান্তের বান্ধবী, অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর। আজ ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন রিয়া। লিখেছেন, ‘‘এক মুহূর্তের জন্যও বিশ্বাস হয় না যে তুমি আমার সঙ্গে নেই... তবে আমি জানি, তুমি আমাকে চাঁদ থেকে দেখছ, আমার খেয়াল রাখছ।’’
সুশান্তের মৃত্যুর দু’দিন আগে পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে বান্দ্রার ফ্ল্যাটেই থাকতেন রিয়া। অভিনেতার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির তিনিই দেখভাল করতেন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। আর এই সূত্র ধরেই সম্পতি হস্তগত এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করেন সুশান্তের বাবা কৃষ্ণকিশোর সিংহ।
প্রথমে মুম্বই পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে তদন্তে নামে সিবিআই। সেটা গত বছর ২০ অগস্টের কথা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির সঙ্গেই সমান্তরাল ভাবে তদন্ত চালিয়ে গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি)। এখনও ইডি এবং এনসিবি যথাক্রমে সুশান্তের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ এবং বলিউডের সঙ্গে মাদকের যোগ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১০ মাস ধরে চলা তদন্তে এনসিবি-ই সব থেকে সক্রিয় ভাবে তদন্ত চালিয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেফতার করে তারা। মাসখানেক বাদে অবশ্য জামিন পান তিনি। এনসিবি-র সাম্প্রতিকতম গ্রেফতার— সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি। তিনিও সুশান্তের সঙ্গে বান্দ্রার ফ্ল্যাটে থাকতেন। সুশান্তের দেহ আবিষ্কার করেছিলেন এই সিদ্ধার্থই। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না, এই অভিযোগ তুলে ২৮ মে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।