পদচিহ্ন: হিমালয় অভিযানে পাওয়া এই ছবি টুইট করেই সেনা জানিয়েছে— ‘ইয়েতির ছাপ’!
ইয়েতি নয়। ভালুকের পায়ের ছাপ দেখেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ভারতীয় সেনার ইয়েতি তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে এমনটাই জানালো নেপালের সেনাবাহিনী।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ভারতীয় সেনার মুখপত্র এডিজিপিআইয়ের ফেসবুক এবং টুইটার হ্যান্ডল থেকে বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে টুইট করা হয়। ছবিতে বরফের মধ্যে কয়েকটি পায়ের ছাপের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ভারতীয় সেনার একটি অভিযাত্রী দল নেপালের মাকালু বেস ক্যাম্পের কাছে বরুণ জাতীয় উদ্যানে অভিযানে যান। টুইটে বলা হয়, এপ্রিল মাসের ৯ তারিখ সেনা অভিযাত্রী দল বরফের উপর রহস্যময় পায়ের ছাপ দেখতে পান। একেকটি পায়ের ছাপের দৈর্ঘ্য ৩২ ই়ঞ্চি এবং প্রস্থ ১৫ ইঞ্চি বলে উল্লেখ করা হয় সেনার টুইটে। সঙ্গে বলা হয়, এই পায়ের ছাপ কিংবদন্তীর তুষারমানব ইয়েতির। সেনার পক্ষ থেকে এটাও জানানো হয় যে তাঁরা ওই পায়ের ছাপের ছবি এবং অন্যান্য তথ্য প্রমাণ বিশেষজ্ঞদের দিয়েছেন।
কিন্তু ভারতীয় সেনার ওই ‘ইয়েতির পায়ের ছাপ’ ভালুকের বলে দাবি করেছে নেপাল সেনাবাহিনী। নেপাল সেনার মুখপত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বিজ্ঞানদেব পাণ্ডে বলেন,‘‘ ভারতীয় সেনা অভিযাত্রী দলের সঙ্গে আমাদের সেনা সদস্যরা ছিলেন। ছিলেন স্থানীয় সেনা এবং মোটবাহকরাও। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি ওই পায়ের ছাপ আসলে ওই অঞ্চলের বাদামী ভালুকের। ওই এলাকায় বাদামী ভালুক প্রায়শই দেখা যায়।”
আরও পড়ুন: ‘প্রবল আতঙ্কে আছি, জানি না কী হবে, জগন্নাথই ভরসা’
ভারতীয় সেনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইয়েতির পায়ের ছাপ’ পোস্ট করার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্য আসতে থাকে। অনেকেই সেনার ওই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কারণ সব ক’টি ছবিতেই দেখা যায় একটি পায়ের ছাপ। অনেকেই মন্তব্য করেন — ইয়েতিটি কি এক পায়ে চলছিল? সত্যরূপ সিদ্ধান্তের মত বিখ্যাত পর্বোতারোহীরাও সেনার ওই দাবিকে মেনে নিতে পারেননি। অনেক অভিযাত্রীই তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, ভালুকের সঙ্গে ছানা থাকলে তারা মায়ের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটে। তাতে বরফের উপর পায়ের ছাপ বড় লাগে। কারণ অনেক সময়তেই দু’টি পায়ের ছাপের মধ্যে থাকা ব্যবধানে বরফ গলে মিশে যায়। সেক্ষেত্রে পায়ের ছাপ অনেক বড় দেখায়।
আরও পড়ুন: শুক্রবার রাতেই এ রাজ্যে আছড়ে পড়বে ফণী, পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
নেপাল সেনা ভারতীয় সেনার দাবি উড়িয়ে দেওয়ার পর এখনও ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।