অরবিন্দ কেজরীবাল। ছবি: পিটিআই।
পরিবেশ আন্দোলনকর্মী দিশা রবির গ্রেফতারিকে ‘গণতন্ত্রের উপর নজিরবিহীন আক্রমণ’ বলেই ব্যাখ্যা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের ‘টুলকিট’ শেয়ার করে গ্রেফতার হন বেঙ্গালুরুর দিশা। তাঁর বিরুদ্ধে ‘দেশদ্রোহিতা’র মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুধু দিশাই নয়, আরও ২ সমাজকর্মী নিকিত জেকব এবং শান্তনুর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র এবং দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কেজরীবাল। সোমবার একটি টুইট করে তিনি বলেন, ‘দিশা রবির গ্রেফতারি গণতন্ত্রের উপর নজিরবিহীন আক্রমণ। কৃষকদের সমর্থন করা অপরাধ নয়'।
এই ঘটনা নিয়ে আম আদমি পার্টি(আপ) যেমন সরব হয়েছে, পাশাপাশি আরও বিরোধী দল যেমন অকালি দল, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং কংগ্রেসও এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী যেমন টুইট করে বলেছেন, ‘দেশ চুপ করে বসে থাকবে না'। আবার কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, ‘এটা সত্যি লজ্জার বিষয় যে, ২২ বছরের এক পরিবেশ আন্দোলনকর্মীকে অত্যাচারী সরকারের শিকার হতে হচ্ছে'। এটা সরকারের হতাশার ফল বলেও মন্তব্য করেন অধীর। তবে আজ হোক বা আগামী দিন, দেশের মানুষ এর জবাব দেবেই বলে মনে করেন কংগ্রেস সাংসদ।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি কৃষক আন্দোলন নিয়ে একটি ‘টুলকিট’ টুইট করেছিলেন গ্রেটা। তা নিয়ে দেশ জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। এই টুলকিট-এর সঙ্গে ‘খলিস্তানপন্থী’দের যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। গ্রেটার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ এ নিয়ে মামলাও করে। বিষয়টি সেখানে থেমে থাকেনি, গ্রেটার শেয়ার করা সেই ‘টুলকিট’ ইতিমধ্যেই দিশা, নিকিতা এবং শান্তনুর মতো সমাজকর্মীরা নেটমাধ্যমে ছেড়েছেন। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে।