—প্রতীকী চিত্র।
চলন্ত ট্রেন থেকে এক রুশ তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে রেল। ঘটনার পর প্রায় তিন মাস কেটে গেলেও ওই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ওই পর্যটকের হাতে ফিরিয়ে দিতে পারেনি রেল। তবে রেল কর্তাদের দাবি, জিআরপি এবং আরপিএফের দাবি অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। মোবাইল ফোনের হদিশ মিলেছে। স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিয়ে দ্রুত তা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
রেল সূত্রের খবর, গত ১৭ অগস্ট রুশ পর্যটক নিনা নিকনোরোভা গয়া-কামাখ্যা এক্সপ্রেসে চেপে যাচ্ছিলেন। বিহারে ফল্গু নদীর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় আই-ফোন ব্যবহার ভিডিয়ো তুলছিলেন ওই পর্যটক। সে সময় আচমকা তাঁর হাতে লাঠি দিয়ে ট্রেনের বাইরে থেকে কেউ
আঘাত করে বলে অভিযোগ। নিনা কিছু বুঝে ওঠার আগেই কেউ তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ। এরপর তিনি গয়া এবং কামাখ্যায় জিআরপি-র কাছে অভিযোগ জানান।
নিনার অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এবং আরপিএফ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পিন্টু কুমার এবং সজ্জন কুমার নামে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে একই ভাবে ছিনিয়ে নেওয়া আরও তিনটি মোবাইল পাওয়া গেলেও ওই রুশ পর্যটকের মোবাইল পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই ভারতে বেড়ানো শেষ করে দেশে ফিরে গিয়েছেন ওই রুশ তরুণী।
ওই দুই ধৃতকে জেরা করে রেল পুলিশ শাহিল পাসোয়ান নামে বিহারের মনপুরের আরও এক দুষ্কৃতীর হদিস পায়। শাহিলই নিনার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু মোবাইলের সুইচ অফ থাকায় রেল পুলিশ ওই দুষ্কৃতীকে প্রমাণ-সহ পাকড়াও করতে পারেনি। রেলের খবর, নিনা আই-ফোন ব্যবহার করতেন। তাই অ্যাপলের ক্লাউডের সুরক্ষা তাঁর ফোনে ছিল। সম্প্রতি ওই রুশ তরুণী তাঁর ফোনের ‘আই ক্লাউড’ থেকে বার্তা পান যে তাঁর মোবাইল ফোনের সুুইচ অন করা হয়েছে। রাশিয়া থেকেই তিনি ই-মেল মারফত ফোন সংক্রান্ত সেই তথ্য রেল পুলিশকে জানান। খোঁজ করে জানা যায়, নিনার ফোন মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কাছে এক প্রত্যন্ত এলাকায় সক্রিয় করা হয়েছে। এরপর পুলিশ নাগপুরে কোথায় ওই ফোন রয়েছে তা হদিশ করে অভিযান চালালেও অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি। পুলিশের একাংশের অনুমান, ফের ওই ফোন বন্ধ করে অভিযুক্ত গা-ঢাকা দিয়েছে। তবে রেলের দাবি, গয়া এবং নাগপুর, দু’জায়গাতেই খোঁজ চলছে। শীঘ্রই ফোন উদ্ধার হবে বলে রেলকর্তাদের আশা।