গৌরী লঙ্কেশ ও নরেন্দ্র দাভোলকর।
গৌরী লঙ্কেশ খুনের সঙ্গে নরেন্দ্র দাভোলকরের খুনের ঘটনার কোথাও একটা যোগসূত্র রয়েছে। তদন্তকারীরা অন্তত তেমনটাই মনে করছেন। তদন্তকারীদের হাতে আসা একটি ডায়েরি সেই সন্দেহকে আরও জোরালো করেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হয়েছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক ও সমাজকর্মী গৌরী লঙ্কেশ। আততায়ীরা বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে তাঁকে। লঙ্কেশের খুনিদের খোঁজে তোলপাড় শুরু হয়। সেই ঘটনার প্রায় সাত মাস পরে অমল কালে নামে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়। কাকে কখন কোথায় টার্গেট করা হবে, ডায়েরি জুড়ে তালিকা বানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সেই ডায়েরিতে যে তালিকা উদ্ধার হয়, তার কিছু অংশ সাঙ্কেতিক ভাষায় লেখা ছিল। সেই ভাষা উদ্ধার করতেই পুলিশের ঘুম উড়ে যায়। গৌরী লঙ্কেশ-সহ বেশ কয়েক জন সেই তালিকায় রয়েছে। সেই তালিকায় দাভোলকর এবং গোবিন্দ পানসারের পরিবারের লোকজনদেরও নাম পাওয়া যায়। তার পরই পুলিশ ওই পরিবারের সুরক্ষার ব্যবস্থা করে। সন্দেহ দানা বাঁধে এখান থেকেই। তা হলে কি গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকারীদের সঙ্গে দাভোলকরের হত্যার কোনও যোগসূত্র আছে?
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র দাভোলকর খুনে গ্রেফতার আরও এক
তদন্তকারীরা কালেকে জেরা করে বৈভব রাউতের খোঁজ পান। তিনি একটি হিন্দু সংগঠনের সক্রিয় কর্মী। পুণে, সাতারা, শোলাপুর, মুম্বই থেকে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে শরদ কালাসকর এবং সুধওয়ানা গোন্ধালেকরও ছিলেন।ঘটনাচক্রে এই দু’জনের নামও উঠে আসে কালেকে জেরা করে।
২০১৩-র ২০ অগস্ট প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে খুন হন মহারাষ্ট্রের কুসংস্কারবিরোধী আন্দোলনের নেতা নরেন্দ্র দাভোলকর।মহারাষ্ট্র এটিএস তদন্তে নেমে সচিন প্রকাশরাও নামে অওরঙ্গাবাদেরএক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করে শ্রীকান্ত পানগারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ধর্মের গলি ছাড়লেই সমৃদ্ধির রাজপথ!
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)