ফাইল চিত্র
রাহুল গাঁধী কৈলাসের পথে রওনা দিতেই কপালে ভাঁজ বিজেপির। কংগ্রেস সভাপতি বিমানে চাপতেই তাঁর সঙ্গে চিনের ‘গোপন’ যোগের অভিযোগ তুলে সরব হল নরেন্দ্র মোদীর দল।
রাহুল যে-ই আজ বিমানে ওঠেন, দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি। সম্বিত পাত্র অভিযোগ করেন, রাহুল চিনে যাচ্ছেন। চিনে কোন কোন নেতার সঙ্গে দেখা করবেন, তা জানান। নেপাল হয়ে চিনে যাচ্ছেন রাহুল। আর দিল্লি বিমানবন্দরে রাহুলকে বিদায় জানাতে চেয়ে চিনা দূতাবাস থেকে আর্জি এসেছিল বিদেশ মন্ত্রকের কাছে। সম্বিতের প্রশ্ন, ‘‘কোনও ভারতীয় নাগরিককে চিনা রাষ্ট্রদূত কেন বিদায় জানাবেন? বিদেশ মন্ত্রক তাই চিনা দূতাবাসের কোনও জবাব দেয়নি। রাহুল গাঁধী কি চাইনিজ গাঁধী?’’
নিরাপত্তার কারণে রাহুলের যাত্রা পথ আজ খোলসা করেনি কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপির আক্রমণের জবাবে রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা মোদীকে বিঁধে বলেন, ‘‘কৈলাস তো চিনেই। শিবভক্ত রাহুল গাঁধীকে আটকাতে বিজেপি এত আকুল কেন? কৈলাস যাত্রার জন্যও কি নরেন্দ্র মোদীর অনুমতি লাগবে? নিজেকে তিনি কি শিবের থেকেও বড় মনে করেন? শিব আর ভক্তের মধ্যে বাধা তৈরি করলে পাপ ও অভিশাপ লাগবে। সাহস থাকলে তিনিও দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় ওই দুর্গম পথে হাঁটুন।’’ কংগ্রেস আজ জানায়, কৈলাস যাত্রা ও মানস সরোবর পরিক্রমায় ১২-১৪ দিন লাগে। ভোটের আগে এই যাত্রা যে মোদীর হিন্দুত্বে ভাগ বসাবে, তা বুঝছে বিজেপি। তাই যাত্রার প্রথম দিনেই হামলা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ২০ সেকেন্ড দেরি হলেই ভাঙত রাহুলের বিমান
সম্বিত এ দিন বলেন, ‘‘আগেও গোটা গাঁধী পরিবার চিনের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে। ডোকলাম বিবাদের সময় গাঁধী বিদেশ মন্ত্রককে জিজ্ঞাসা না করে চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। প্রতিটি বক্তৃতায় রাহুল চিনের তারিফ করেন। তিনি কি চিনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর?
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দিল্লি বিমানবন্দরে রাহুলকে বিদায় জানানোর জন্য বিশেষ ‘পাস’ দেওয়ার আর্জি এসেছিল চিনা দূতাবাসের কাউন্সেলর ঝউ ইউইউনের কাছ থেকে। বিজেপির প্রশ্ন, রাহুল প্রথমে নেপাল যাচ্ছিলেন। চিন কেন তাঁকে এ দেশে বিদায় জানাবে?