লোকসভায় হানার সেই মুহূর্ত। ছবি: এক্স।
শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন লোকসভার কক্ষে হানা দিয়েছেন চার জন। তাঁদের মধ্যে দু’জন পৌঁছে গিয়েছিলেন একেবারে সভাকক্ষের ভিতরে। তাঁদের কাছে ছিল রং বোমা। যা থেকে হলুদ রঙের ধোঁয়া তাঁরা ছড়িয়ে দেন সভার চারদিকে। খাস রাজধানীতে নতুন সংসদ ভবনে এমন নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। ইতিমধ্যে ওই চার জনকেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে মিলছে নতুন নতুন তথ্য। পুলিশ জানতে পেরেছে, শীতকালীন অধিবেশনের আগেই লোকসভায় ঢোকার পরিকল্পনা করেছিলেন চার অভিযুক্ত।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সংসদের গত অধিবেশনে সভাকক্ষে ঢুকে হট্টগোল করার ছক কষেছিলেন তাঁরা। সেই অনুযায়ী আয়োজনও সম্পন্ন হয়েছিল। সব দিক থেকে সব রকম বন্দোবস্ত করলেও শুধু একটি জায়গায় গিয়ে আটকে পড়েন সাগর শর্মা, নীলম আজাদ, মনোরঞ্জন ডি এবং অমল শিন্ডে।
কোথায় সমস্যা হয়েছিল? সংসদের গত অধিবেশনে কেন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারেননি তাঁরা?
মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ২৫ বছরের অমল শিন্ডে। বুধবার যখন লোকসভার কক্ষে ঢুকে হলুদ ধোঁয়া ছড়াচ্ছেন সাগর, মনোরঞ্জনরা, অমল এবং নীলম তখন বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। বাইরে থেকে তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। স্লোগান তুলে একই ভাবে ক্যান থেকে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন হলুদ ধোঁয়া। পুলিশি জেরার মুখে অমল জানিয়েছেন, গত অধিবেশনে তাঁদের এই হট্টগোল করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সে বার তাঁরা লোকসভায় ঢোকার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র বা ‘পাস’ জোগাড় করতে পারেননি। সেই কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
এ বার অবশ্য আটঘাট বেঁধেই কাজে নামেন সকলে। সাগর ওই অনুমতিপত্র জোগাড় করে ফেলেন। মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিংহের ‘অতিথি’ হিসাবে সংসদে প্রবেশ করেন সাগর এবং মনোরঞ্জন। দর্শকদের গ্যালারি থেকে তাঁরা সরাসরি লোকসভার চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বেঞ্চ থেকে বেঞ্চে লাফিয়ে ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। সঙ্গে স্লোগানও দিচ্ছিলেন দু’জনেই। সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন অমল এবং নীলম। পুলিশ জানতে পেরেছে, মোট ছ’জন এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে মূলচক্রী ললিত ঝা নামের এক যুবক। একে অপরের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে আলাপ হয়েছে তাঁদের। সেখানেই সংসদে হানার এই পরিকল্পনা করেছেন।