পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে সাংসদ নবনীতের বচসা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
ভিন্ধর্মে বিয়ের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় ঢুকে অশান্তি বাধানোর অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রের নির্দল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নবনীত কউর রানার বিরুদ্ধে। যদিও নবনীত হাঙ্গামার অভিযোগ অস্বীকার করে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে ওই ঘটনার একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন (আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)।
নবনীতের অভিযোগ, ভিন্ধর্মে বিয়ের পর ওই হিন্দু তরুণী শ্বশুরবাড়িতে ধারাবাহিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তরুণীর বাপের বাড়ির তরফে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। নবনীতের দাবি, অবিলম্বে ‘শ্বশুরবাড়িতে বন্দি’ ওই তরুণীকে তাঁর বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে হবে পুলিশকে।
ওই ভিডিয়োয় থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নবনীতের তর্কাতর্কির দৃশ্য দেখা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় ২০ মিনিট ধরে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা চলে অমরাবতীর সাংসদ নবনীতের। পঞ্জাবের কন্যা নবনীত এক সময় তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। রুপোলি পর্দার এই নায়িকার সঙ্গে যোগগুরু রামদেবের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর রাজনীতিক রবি রানাকে বিয়ের পর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে অমরাবতী কেন্দ্রে কংগ্রেস-এনসিপি জোট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে শিবসেনা নেতা আনন্দরাও অডসুলকে হারিয়ে জেতেন। বর্তমানে অবশ্য শিন্ডেসেনা-বিজেপি জোটের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত নবনীত। তাঁর স্বামী তথা নির্দল বিধায়ক রবি, জুন মাসে উদ্ধব ঠাকরের সরকারকে হঠাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।