Sex Workers

পরিচয়পত্র ছাড়াই রেশন দিতে নির্দেশ যৌনকর্মীকে

লকডাউনের ফলে চরম সঙ্কটে পড়া যৌনকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি। সেই মামলার শুনানিতে আদালত আগের দিনই  বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় কোনও পরিচয়পত্র না দেখেই যৌনকর্মীদের অবিলম্বে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম অবিলম্বে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে বলেছিল কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫৪
Share:

প্রতীকী চিত্র

লকডাউনে চরম সঙ্কটে পড়া প্রতিটি যৌনকর্মীকে অবিলম্বে বিনামূল্যে শুকনো রেশন দিতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এক রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রেশন দেওয়ার সময় পরিচয়পত্র দেখানোর জন্য যৌনকর্মীদের উপর কোনও রকম চাপ দেওয়া যাবে না। ‘ন্যাশনাল এডস কন্ট্রোল অরগানইজেশন’ বা (ন্যাকো) স্বীকৃতি দিয়েছে, এমন সব যৌনকর্মীকেই এই রেশন দিতে হবে রাজ্যগুলিকে। এই কাজ শুরু করার জন্য রাজ্যগুলিকে চার সপ্তাহ সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে যৌনকর্মীদের মধ্যে শুকনো খাবার বিলি করতে হবে। কত জন খাবার পেলেন, তার রিপোর্ট চার সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে।।

Advertisement

লকডাউনের ফলে চরম সঙ্কটে পড়া যৌনকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি। সেই মামলার শুনানিতে আদালত আগের দিনই বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় কোনও পরিচয়পত্র না দেখেই যৌনকর্মীদের অবিলম্বে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম অবিলম্বে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে বলেছিল কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে। এ দিন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘‘আমরা জানি, অনেক রাজ্যই যৌনকর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাড়াচ্ছে পরিচয়পত্র। ফলে আপাতত যেমন রেশন দিতে হবে সকলকে, তেমনই হাতে হাতে তুলে দিতে হবে রেশনকার্ড। রাজ্যগুলিকে জানাতেও হবে কী ভাবে, কত জনকে নতুন রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে।’’ সে সময় পশ্চিমবঙ্গের তরফে আইনজীবী সুহান মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে যাঁদের রেশন কার্ড নেই, খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় কুপনের মাধ্যমে তাঁদের হাতে শুকনো রেশন দেওয়ার কাজ করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। বিচারপতিরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করে এই প্রকল্প চালিয়ে যেতে বলেন এবং এই প্রকল্পের নিয়মবিধি জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। লকডাউন এবং করোনার কারণে যৌনকর্মীদের সঞ্চয়ও তলানিতে। এই অবস্থায় তাঁদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আর্জি জানিয়েছিল মামলাকারী দুর্বার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement