ছবি: সংগৃহীত।
আদি এবং নব বিজেপির লড়াই তীব্র ত্রিপুরায়। আদি গোষ্ঠীর অভিযোগ, দুঃসময়ে তাঁরা দলকে ক্ষমতায় আনতে বামেদের হাতে মার খেয়েছিল। এখন নব বিজেপির হাতেও মার খেতে হচ্ছে।
২০১৪-য় বিজেপি রাজ্যে মাত্র ১% ভোটের অধিকারী ছিল। সেই সময় রাজ্যের গোমতী জেলার বেলতলি পঞ্চায়েতটি বিজেপি দখল করেছিল। প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি অনিল চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘কিন্তু এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে পুরনোদের মাত্র একজনকে টিকিট দেওয়া হয়। এই নিয়ে বিস্তর চিঠি চালাচালি করেও কোন মীমাংসা হয়নি।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘এলাকার মানুষ এবং বিজেপি বিধায়ক বিপ্লব ঘোষের উৎসাহে আমরা নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিই।’’ বিপ্লববাবু তা অস্বীকার করেছেন। বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, সাংগঠনিক স্তরে যোগ্যতা বিচার করেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।
অনিলবাবুরা জানান, নব্য বিজেপিরা পুরানো বিজেপিদের উপরে হামলা করেছে। মনোয়ন জমা দেবার দিনই নব্য নেতারা পুরনো বিজেপি কর্মীদের মারধর করে। এখনও নির্মল লস্কর নামে এক কর্মী হাসপাতালে। সিপিএমের সময়েও এত সন্ত্রাস, হামলা হয়নি। অনিলবাবু জানান, পুরনো প্রার্থীরা প্রাণভয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।