National news

মায়া-অখিলেশের বোঝাপড়া, দল ভাঙানো বন্ধ

এসপি-র মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরির কথায়,উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুর উপনির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যে পথ চলা শুরু হয়েছিল, তা কৈরানা উপনির্বাচনে এসে অনেকটাই পূর্ণতা পেয়েছে। গত দু’মাসে এসপি-র কোনও নেতা নেত্রী যেমন বিএসপি-তে যোগ দেননি। ঠিক সেরকম বিএসপি-র কোনও বিদ্রোহীও যোগ দেননি এসপি-তে।

Advertisement

সং‌বাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৮ ১৭:০৭
Share:

জোট মজবুত করতে মায়াবতী ও অখিলেশের অলিখিত চুক্তি।

বুয়া-ভাতিজার ডিল প্রায় পাকা। নিজেদের মধ্যে আর দল ভাঙানোর খেলায় যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমাজবাদী পার্টি(এসপি) এবং বহুজন সমাজ পার্টি(বিএসপি)।

Advertisement

এখনও পর্যন্ত লিখিত ঘোষণা হয়নি। চুক্তিও হয়নি। কিন্তু দু’দলের নেতারা জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে ‘বুয়া’ মায়াবতীর সঙ্গে ‘ভাতিজা’ অখিলেশ যাদব ঠিক করেছেন, একে অন্যের দল ভাঙানো তো দূরের কথা। অন্যের বিদ্রোহী নেতা-নেত্রীদের প্রশ্রয় দেওয়া পর্যন্ত হবে না। কিছু দিন আগেই একটি জনসভায় জোটের বার্তা দিয়ে এসপি নেতা অখিলেশ যাদব বলেছিলেন, বিএসপিকে যদি বাড়তি আসন ছাড়তে হয়, তবে তাঁরা সেটাও করবেন। কিন্তু বিজেপিকে হারানোর জন্য তাঁরা জোট গড়েই ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে লড়বেন। জানা গিয়েছে, এর পর জোটের ভিত মজবুত করার চেষ্টায় দুই দলের শীর্ষ নেতারা কথা চালিয়ে যাচ্ছেন।

একটা সময় এসপি এবং বিএসপি’র মধ্যে সম্পর্ক ছিল তিক্ত। কিন্তু এসপি-র মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরির কথায়,উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুর উপনির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যে পথ চলা শুরু হয়েছিল, তা কৈরানা উপনির্বাচনে এসে অনেকটাই পূর্ণতা পেয়েছে। গত দু’মাসে এসপি-র কোনও নেতা নেত্রী যেমন বিএসপি-তে যোগ দেননি। ঠিক সেরকম বিএসপি-র কোনও বিদ্রোহীও যোগ দেননি এসপি-তে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘শাস্তি’ দেওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ডে গণধর্ষণ, জেরায় বলল ধৃতেরা

আরও পড়ুন: সবচেয়ে নোংরা রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

রাজেন্দ্র চৌধুরির দাবি, ‘‘বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য দুই দল যেহেতু জোট করেছে, তাই একে অন্যের দল ভাঙানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, দলকে শক্তিশালী করার চেয়ে জোটকে শক্তিশালী করাটাই এখন দুই দলের প্রধান লক্ষ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসপি’র এক নেতার দাবি, এসপি ভেঙে কেউ বিএসপিতে যোগ দিন, সেটা মায়াবতীও চাইছেন না। ফলে উত্তরপ্রদেশে জোটের ভিত নাকি এখন অনেকটাই মজবুত। দুই দলেরই দাবি, বুয়া-ভাতিজার অলিখিত চুক্তির ফলে জোটের জোটের ভিত যেমন মজবুত হয়েছে। পাশাপাশি দল ছেড়ে এসপি ও বিএসপি-র বাইরে তৃতীয় কোনও দলে যোগ দেওয়ার ঘটনাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement