প্রাক্তন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী পাল্লাম রাজু। —ফাইল চিত্র
লাদাখের পরিস্থিতি, সেখানে চিনা সেনারা কতটা জমি দখল করে নিয়েছে, তা নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানানোর দাবি ফের জানাল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী পল্লম রাজুর অভিযোগ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অন্তত ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত অনুপ্রবেশ করে ফেলেছে চিনা সেনা। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে বেজিং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা গায়ের জোরে পাল্টানোর যে চেষ্টা বরাবর করেছিল, তা কার্যত মেনে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এমনকি যে পিপি-১৪ ঘিরে ২০ জন জওয়ানের প্রাণ গেল, সেখানেও চিনা সেনা ফের অনুপ্রবেশ করেছে। সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তা জানানোর দাবি তুলেছে কংগ্রেস। রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন ভারতীয় ভূখণ্ডে েকউ অনুপ্রবেশ করেনি। কিন্তু চিনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অন্য কথা বলছেন। তাহলে কে দেশকে ভুল পথে চালনা করছেন?
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকল্পিত ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে ক্রমশ ভারতের দিকে ঠেলে দেওয়াটা পুরনো কৌশল চিনের। এ বারে তাতে সাফল্য পেয়েছে বেজিং। কংগ্রেসের অভিযোগ, চিনা সেনা ইতিমধ্যেই ১৮ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে এসেছে। আর ২৫ কিলোমিটার এগোলেই ডিবিও সড়কের কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এয়ারস্ট্রিপ দখল করে নেবে তারা। পল্লম রাজুর অভিযোগ, প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত ইতিমধ্যেই বাঙ্কার, ছাউনি ও নজরদারি পোস্ট গড়েছে চিনা সেনা। এখন নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে ফিঙ্গারগুলির মাথাতেও ঘাঁটি বানানো শুরু করেছে তারা। তা ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। কংগ্রেস বরাবর অভিযোগ করে আসছে, তথ্য গোপন করে আসছে মোদী সরকার। প্রকৃত তথ্য দেশবাসীকে জানাতে প্রয়োজনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হলেও সংসদের অধিবেশন ডাকার প্রস্তাবও কাল দিয়েছিল তারা।
বিরোধীদের ধাঁচেই আজ সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রাক্তন মেজর জেনারেল জি ডি বক্সীও। তিনি টুইট করে বলেন, সব কিছু ঠিক নেই পশ্চিম ফ্রন্টে। চিনা সেনা প্রথম লাদাখে ঝামেলা পাকাতে ষষ্ঠ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনকে নিয়ে এসেছিল। এ বার তারা চতুর্থ ডিভিশনকে মোতায়েন করেছে ডিবিও ও ডেপসাং-এর বিপরীতে। এস-৪০০ (মিসাইল সিস্টেম) ও বসিয়েছে চিন। তাই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।