এক দিকে বিজেপির জাতীয়তাবাদের রাজনীতির সঙ্গে টক্কর। সঙ্গে আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে ইন্দিরা গাঁধীর জন্মশতবর্ষকে হাতিয়ার করতে চাইছে কংগ্রেস।
দেশের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বছরভর কর্মসূচি নেওয়ার জন্য প্রতিটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, পরিষদীয় দলনেতা ও শাখা সংগঠনের নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক জনার্দন দ্বিবেদী। আগামী ১৯ নভেম্বর দিল্লিতে আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়ে শতবর্ষ উদযাপন শেষ আগামী বছর নভেম্বরে। ইন্দিরার মুকুটে একে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পালক আছে। তার উপরে তাঁর নিহত হওয়ার ঘটনা সন্ত্রাসবাদের হাতে বলি হওয়া হিসাবেই দেখাতে পারে কংগ্রেস। তাই উত্তরপ্রদেশে ভোটের বছরে ইন্দিরা স্মরণকেই মোদী-অমিত শাহদের মোকাবিলায় কাজে লাগাতে চাইছেন সনিয়া গাঁধী।
ভারতীয় সেনার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’কে ঘিরে রাহুল গাঁধী পাল্টা আক্রমণে নামা মাত্রই অমিত মনে করিয়ে দেন ’৭১ সালের যুদ্ধের সময়ে কংগ্রেস নেতাদের ভূমিকার কথা। কংগ্রেস নেতারাও মনে করেন, ’৭১ টেনে আনলে তাঁদেরই সুবিধা! কারণ, দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রই সেই যুদ্ধের পরে বদলে ফেলতে পেরেছিলেন ইন্দিরা। গেরুয়া শিবিরের নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ীকেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুর্গার তুলনা টানতে হয়েছিল। বছর পাঁচেক আগে বাংলাদেশের ৪০ তম স্বাধীনতা বর্ষেও ইন্দিরাকে মরণোত্তর সম্মান দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। এই প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই মোদীর জাতীয়তাবাদ মোকাবিলায় সেই ইন্দিরার গৌরবগাথা ফিরিয়ে আনতে চাইছে কংগ্রেস।
শতবর্ষ উপলক্ষে এক বছর ধরে ছবি ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী-সহ নানা কর্মসূচি নেবে কংগ্রেস। ইন্দিরা স্মারক বক্তৃতার আয়োজন হবে ২০-২৫টি শহরে। ইন্দিরা জমানার নানা কৃতিত্বকে মনে করিয়ে রাজ্যে রাজ্যে প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে প্রচার উপকরণ পাঠাবে এআইসিসি। এ রাজ্যের এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘দিল্লির নির্দেশিকা এসেছে। আমাদের রাজ্যে ঠিক কী কর্মসূচি হবে, তার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এখনও হয়নি।’’