চিনা পণ্যের দোকানে ভিড়। —ফাইল চিত্র
লাদাখে সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে বিবাদ চলছে। এর মধ্যেই সোশাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিং হয়ে উঠছে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক। কিন্তু তাতে কতটা বিপাকে পড়তে পারে বেজিং? সে দেশের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য দাবি করছেন, ভারতে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ ওই দামে ওই মানের পণ্য বাজারজাত করা আর কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তাদের মতে, ভারতীয়রা ওই পণ্য কেনা থেকে নিজেদের ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না।
চিনা সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস চায়না’ তাদের একটি রিপোর্টে লিখেছে, ভারতে জাতীয়তাবাদীরাই স্মার্টফোন, মোবাইল অ্যাপের মতো চিনা পণ্য বয়কট করার ডাক দিয়েছে। কেমন এমন পদক্ষেপ, তার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ‘চিনকে কলঙ্কিত করা এবং তার সমালোচনা করাই এর লক্ষ্য।’ এই রিপোর্টে বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতিও দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দাবি করেছেন, চিনা পণ্য বয়কটের ডাক কার্যক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে পারে। তাঁদের মতে, চিনা পণ্য বয়কট করলে ধাক্কা খাবেন ভারতীয়রাই। তার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, যে সব চিনা পণ্য ভারতীয়রা পছন্দ করেন তা অন্য কারও পক্ষে দেওয়া অসম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাশ্রয়ী মূল্যের জন্যই চিনা পণ্য পছন্দ করেন মানুষ।
লাদাখ সীমান্তের বিতর্ক নিয়ে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনার পারদ যত চড়ছে ততই উচ্চগ্রামে বাজছে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক। ফোন থেকে চিনা অ্যাপ মুছে ফেলতে ‘রিমুভ চায়না অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ বাজারজাত করে জয়পুরেরে একটি স্টার্ট আপ সংস্থা। যদিও বিধিভঙ্গের অভিযোগে সেই অ্যাপটি প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেয় গুগল। কিন্তু আবির্ভাবের দু’সপ্তাহে মধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ ওই অ্যাপটি ডাউনলোড করে ফেলেন।
আরও পড়ুন: উপর্যুপরি হামলা লেকটাউনে, আক্রান্ত সব্যসাচী-শঙ্কু
এর মধ্যেই অবশ্য বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারি রামমাধব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ‘‘চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দেশবাসীর একটা জনপ্রিয় আবেগ। এ সম্পর্কে সরকার কোনও ঘোষণা করেনি। আজকের দিনে মানুষ সত্যিই অনুভব করেন, চিনে উৎপাদিত পণ্য তাঁদের বয়কট করা উচিত। এটা চিনের উপর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’’
আরও পড়ুন: সনিয়ার অনুরোধে রাজ্যসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া