আরও ‘বন্দে ভারত’ আসছে। — ফাইল চিত্র।
বাংলায় ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ চালুর দিন থেকেই খবরের শিরোনামে। সূচনার দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাতৃবিয়োগ। রাজ্য সফর বাতিল হলেও তিনি ভার্চুয়ালি ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানে বিতর্ক তৈরি হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিজেপি কর্মীদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে। এর পরে ঢিল, পাথরে বার বার আঘাত পেয়েছে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’।
অনেকেরই অজানা যে, এই ট্রেনের আর এক নাম ‘ট্রেন ১৮’। এর পিছনে একটা কারণ রয়েছে। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে এই ট্রেন তৈরি করে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্র্যাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ)। মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে ট্রেন তৈরি করে ফেলে আইসিএফ। আর সেই কারণেই ‘বন্দে ভারত’ নামে চললেও ডাকনাম ‘ট্রেন ১৮’।
এই ‘ট্রেন ১৮’কে ভারতীয় রেল পরিবহণের ক্ষেত্রে ‘খেলা বদলে দেওয়া’র মাধ্যম হিসাবে মনে করছে। কারণ, এই ট্রেনে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগসুবিধা রয়েছে। প্রথম এমন ট্রেন দেশে চালু হয় ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেটা নয়াদিল্লি থেকে বারাণসী। এখন দেশে মোট আটটি ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস চলছে। সেমি হাই স্পিড এই ট্রেন মোট ২৩ লাখ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার গতি নিতে পারা এই নীল-সাদা ট্রেন যে কোনও রুটেই সফরের সময় ২৫ থেকে ৪৫ শতাংশ কমিয়েছে বলে দাবি করে রেল।
গত বছর সাধারণ বাজেট পেশের সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছিলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে চারশো ‘বন্দে ভারত’ ট্রেন তৈরি হবে দেশে। ২০২১ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে আগামী ৭৫ মাসে দেশে ৭৫টি ‘বন্দে ভারত’ ট্রেন চালু হবে। রেল সূত্রে খবর, সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে।
এখন সব ক’টি ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসেই শুধু চেয়ার কার রয়েছে। তবে রেলের যা পরিকল্পনা তাতে আগামী দিনে স্লিপার ক্লাসও থাকবে এই ট্রেনে। এর ফলে রাতের ট্রেন হিসাবেও ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস পাওয়া যাবে। এখন যেমন এই ট্রেনে নানা রকম আধুনিক সুবিধা রয়েছে সেগুলি তো থাকবেই, স্লিপার শ্রেণির বগিতে আরও বাড়তি কিছু সুবিধা থাকবে বলেও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। যাত্রীদের বার্থে ওঠানামার জন্য বিশেষ ধরনের মই রাখারও পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।