রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১৬টি জোনে তারা ৫৬,৮৮৮টি ‘অপ্রয়োজনীয়’ পদ অবলুপ্ত করেছে। ফাইল চিত্র
চাকরির নিরিখে ভারতীয় রেলকে সবচেয়ে বড় নিয়োগকারী সংস্থা বলাই যায়। সেই রেলেই গত ছয় বছরে নিভৃতে অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে ৭২ হাজারেরও বেশি পদ! সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল অনেক হিসেব কষেই বিষয়টি করেছে। রেলের নথি অনুযায়ী, এই সময়কালে তারা ৮১ হাজার পদকে বিলুপ্ত করতে চেয়ে মন্ত্রকের কাছে আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেশ এখন অনেকটাই এগিয়ে। রেলের সমীক্ষা বলছে, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে এমন অনেক কাজ রয়েছে যা আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যা প্রয়োগের মাধ্যমেই করে নেওয়া সম্ভব। এর জন্য কোনও লোকবলের প্রয়োজন হবে না। রেলের অনেক কাজকর্ম আধুনিক এবং প্রযুক্তিভিত্তিক হয়ে যাওয়ায় সেই সংক্রান্ত পদগুলি বিলুপ্ত করতে হয়েছে। যে কর্মচারীরা এখনও ওই ধরনের পদে কর্মরত, তাঁদের ইতিমধ্যেই অন্য বিভাগে বদলি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১৬টি জোনে তারা ৫৬,৮৮৮টি ‘অপ্রয়োজনীয়’ পদ অবলুপ্ত করেছে। আরও ১৫,৪৯৫টি পদ অবলুপ্ত করার কথা রয়েছে। উত্তর রেল ৯ হাজারেরও বেশি পদ অবলুপ্ত করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল প্রায় ৪,৬৭৭টি পদ, দক্ষিণ রেল ৭,৫২৪টি এবং পূর্ব রেল ৫,৭০০টিরও বেশি পদ অবলুপ্ত করেছে।
রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের বিপুল সংখ্যক কর্মচারীর বেতন ও পেনশনের ভার বহন করা দিন দিন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলের মোট আয়ের এক তৃতীয়াংশ বেতন ও পেনশনের জন্য ব্যয় করতে হয়। এই মুহূর্তে ১ টাকা আয় হলে তার ৩৭ পয়সা বেতনে এবং পেনশনের জন্য ১৬ পয়সা খরচ হয়। সব দিক পর্যালোচনা করেই ২০২১-২২ অর্থবর্ষ চলাকালীন রেলের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। যা প্রায় শেষ পর্বে এখন। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে আরও প্রায় ৯ হাজার পদ বিলুপ্ত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।