ছবি সংগৃহীত।
খরচ বাঁচানোর লক্ষ্যে এ বার নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদ ছাড়া বাকি নতুন পদে নিয়োগ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিল রেল বোর্ড। একইসঙ্গে যে পদগুলি ফাঁকা পড়ে রয়েছে তার অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ লোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
ইউপিএ আমল থেকেই রেলের প্রায় কয়েক লক্ষ পদ খালি পড়ে রয়েছে। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় মাপের নিয়োগের ঘোষণা করেছিল রেল। তারপর থেকে সেই অর্থে বড় মাপের কোনও নিয়োগ হয়নি রেলে। কোভিডের কারণে যাত্রিভাড়া থেকে রেলের আয় কার্যত তলানিতে এসে ঠেকায় ব্যয় সঙ্কোচের লক্ষ্যে গত মাসে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল রেল মন্ত্রক। আজ পরবর্তী ধাপে দেশের সব জ়োনকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত নতুন সব পদ সৃষ্টি বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে নতুন নিয়োগও। চিঠিতে বলা হয়েছে, গত দু’বছরে নিয়োগের প্রশ্নে যে পদগুলি তৈরি হয়েছিল সেগুলির সম্পূর্ণ পর্যালোচনা করবে প্রত্যেক জ়োন। যদি ওই পদগুলিতে এখনও নিয়োগ না হয়ে থাকে তাহলে সেই পদগুলি বাতিল করে দিতে হবে।
গত মার্চ মাসে রেল সংসদে জানিয়েছিল বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রায় ২.৮৭ লক্ষ পদ খালি রযেছে। আজ বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদ ছাড়া অন্য যে সমস্ত পদ খালি রয়েছে তার অন্তত ৫০ শতাংশ এক ধাক্কায় লোপ করতে হবে। মন্ত্রকের যুক্তি, ব্যায়সঙ্কোচ করতেই ওই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বোর্ডের ওই নির্দেশ কঠোর ভাবে মানতে বলা হয়েছে সব জ়োনকে। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগ প্রশ্নে টালবাহানা চলছে রেলে। এই সরকারের লক্ষ্যই হল ১৪ লক্ষ কর্মী থেকে রেলকে কমিয়ে ১০ লক্ষ কর্মীতে নিয়ে আসা। সেই উদ্দেশ্যেই ওই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এতে পরিচালন ব্যবস্থা, পরিষেবা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে আপস করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।