জনসংযোগে ব্যর্থ হলে সরাবে রেল

রেলের ১৭টি জোনের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম)-দের কাছে পাঠানো বার্তায়, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকদের যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে কাজে কোনও আধিকারিক ব্যর্থ হলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে রেলমন্ত্রীর দফতর।

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৮ ০৪:৩১
Share:

এক বছর পরেই লোকসভার মরণবাঁচন লড়াই। তার আগে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে রেলের সাফল্য, ভাল কাজের ফিরিস্তি। সংবাদমাধ্যমের আস্থা অর্জন করে এড়াতে হবে সমালোচনা বা নেতিবাচক প্রচার। জোর দিতে হবে ইতিবাচক প্রচারের উপরে। সেই দায়িত্ব সফল ভাবে রূপায়ণ করতে সমস্ত জ়োনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিল রেল মন্ত্রক। রেলের ১৭টি জোনের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম)-দের কাছে পাঠানো বার্তায়, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকদের যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে কাজে কোনও আধিকারিক ব্যর্থ হলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে রেলমন্ত্রীর দফতর।

Advertisement

ওই নির্দেশের নেপথ্যে রয়েছে কলকাতা মেট্রোর ঘটনা। সম্প্রতি পর পর ক’দিন অফিসটাইমে ভিড়ের সময়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রো পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে বারবার। অনেক সংবাদমাধ্যমই এ নিয়ে খবর করেছে। যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়টি পৌঁছয় রেল মন্ত্রকের কাছেও। রেলমন্ত্রীর দফতরের এক আমলার কথায়, ‘‘সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, ওই প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।’’ মন্ত্রকের মতে এই ঘটনা রেলের ভাবমূর্তির পক্ষে আদৌ কাম্য নয়। রেলের বক্তব্য, মেট্রো খারাপ হতেই পারে। কিন্তু তারও একটি যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত ছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষের। ওই আমলা বলেন, ‘‘তাই রেলের সব জিএম-কে সেই জ়োনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিককে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। তৎপর হতে হবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে।’’ যে আধিকারিকেরা নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। যাঁকে নিয়ে গোটা বিতর্ক, সেই মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় ওই নির্দেশ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমার এ বিষয়ে কিছু জানা নেই।’’

কলকাতায় রেলের তিনটি জোনের সদর দফতর রয়েছে। পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও মেট্রো রেল। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে রেলের পর্যবেক্ষণ হল, গত কয়েক বছরে আঞ্চলিক ভাষায় বার হওয়া অধিকাংশ নেতিবাচক খবর সম্পর্কে সেই জ়োনের জিএমদের কোনও ধারণাই নেই। অভিযোগ, জিএমের কাছে পৌঁছনোর আগেই তা চেপে দেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাত্রীদের সমস্যা বা অসন্তোষের বিষয়ে কার্যত অন্ধকারে থেকে যান জ়োন-কর্তা। সম্প্রতি মেট্রো সংক্রান্ত বেশ কিছু খবরের অনুবাদ ও টিভি ফুটেজ রেলকর্তাদের সামনে আসায় চোখ খোলে মন্ত্রকের। এর পরেই মেট্রোর উদাহরণ তুলে ধরে সব জ়োনকে বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পীযূষ গয়ালের মন্ত্রক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement